চা শ্রমিকদের ধর্মঘট চলছেই
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২২, ১৬:৩৯ আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২২, ১৮:৪৩
দৈনিক মুজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে ১১ দিন ধরে ধর্মঘট পালন করছেন হবিগঞ্জের লস্করপুর ভ্যালির ২৩ চা-বাগানের শ্রমিকরা।
দুপুরে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপপরিচালক নাহিদ আহসান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলী রাজীব মাহমুদ কয়েকটি বাগানে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা চা–শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে দেন এবং কাজে ফেরার অনুরোধ জানান।
চা-বাগানের শ্রমিকরা জানান, আমরা এতো দিন ধরে আন্দোলন করছি। হঠাৎ কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়া আমরা কাজে যোগ দেব না। এখন যদি ৩০০ টাকা ঘোষণা দেয়া হয়, তাহলে আমরা এখনই কাজে যাবো। কিন্তু দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত আমাদের শ্রমিকেরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, আমরা রোববার রাতে শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে কথা বলে একটা সুন্দর সমাধান করেছিলাম। শ্রমিকেরা প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনতে চাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী কয়েক দিনের ভেতরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে কথা বলে ন্যায্য মজুরি নির্ধারণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শ্রমিকেরা চা–বাগানকে ভালোবেসে কাজে ফিরুক। তাদের সব দাবি বিবেচনা করে মানা হবে।
তিনি আরও জানান, আজ সকাল থেকে জেলার অনেক চা–বাগানে কাজ শুরু হয়েছে। শ্রীমঙ্গলেও চা–শ্রমিকেরা কাজ করতে চাচ্ছেন, কিন্তু কিছু দুষ্কৃতকারী তাদের যেতে বাধা দিচ্ছে। শ্রমিকদের উসকাচ্ছে। আমরা সাধারণ শ্রমিকদের কাজে যেতে অনুরোধ করছি, তাদের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব আমাদের।
মঙ্গলবার সকালে চা শ্রমিকদের সমাবেশ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, বিকালে চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবেন কি না সিদ্ধান্ত নেবেন।
চাঁনপুর চা বাগানের পঞ্চায়েত প্রধান সাধন সাঁওতাল বলেন, চা শ্রমিকরা রাতের আঁধারে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে চুক্তি করেছেন আমাদের না জানিয়ে। তাই শ্রমিকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে আছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, একটি দল অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে এ ধরনের কথা বলছে। হবিগঞ্জের লস্করপুর ভ্যালির পঞ্চায়েত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে আজ-কালের মধ্যেই শ্রমিকদের কাজে ফিরিয়ে নিতে পারবো আশা করছি।
বাংলাদেশ জার্নাল/রাজু