মালামালসহ আত্মসমর্পণ করলো চোর
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:৫৪
‘কথায় আছে চোরের দশদিন, গৃহস্থের একদিন’। গাইবান্ধায় এশিয়ান টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার ও বাংলাদেশ জার্নাল-এর জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মাসুম লুমেনের বাড়িতে একাধিকবার চুরির ঘটনায় চোর নিজেই থানায় এসে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। রোববার রাত ৯টার দিকে চুরির দায় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করে গাইবান্ধা শহরের কুখ্যাত চোর ও একাধিক চুরির মামলার আসামি শিখন।
শিখন ডিভিড কোম্পানি পাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
সদর থানা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দেড় বছর অপেক্ষার পর অত্যন্ত ধুরন্দর ও সুচতুর এই চোর চক্রকে ধরতে দেড়মাসের নজরদারি ও তিনবারের চেষ্টায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয় সদর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম। তাদের দেয়া তথ্যমতে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় উপ-পুলিশ পরিদর্শক নুরুজ্জামান ও মাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের একপর্যায়ে চুরির মূল হোতা শিখন রোববার রাতে থানায় এসে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। এসময় সে চুরি করা একটি ভিডিও ক্যামেরা ফেরত দেয় পুলিশের কাছে।
সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক নুরুজ্জামান সরকার বলেন, খোয়া যাওয়া মালামালের মধ্যে এ পর্যন্ত দুটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ও এশিয়ান টেলিভিশনের লোগো সম্বলিত একটি ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি চোরের তথ্য উপাত্ত আমাদের হাতে এসেছে। সময়-সুযোগ অনুযায়ী তাদেরকেও গ্রেফতার করে অন্যান্য মালামাল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হবে।
এছাড়া বাকি আসামি ও চুরি যাওয়া নগদ অর্ধ লক্ষাধিক টাকা ও একটি ক্যামেরা উদ্ধারে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শিখন একাধিক চুরির মামলার আসামি বলেও জানিয়েছেন সদর থানার ওসি মাসুদুর রহমান।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে