ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ তুলে মাথা ন্যাড়া করে শিক্ষিকার প্রতিবাদ

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:১০

ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ তুলে মাথা ন্যাড়া করে শিক্ষিকার প্রতিবাদ
সংগৃহীত ছবি

ফ্রেন্স বেণি করে চুল বাঁধায় চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি এলাকার ইয়াকুব আলী দোভাষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত কাবাডি দলের খেলোয়াড়দের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ তুলে নিজের মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ করেছেন বিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী শিক্ষিকা ও কাবাডি দলের কোচ জাহিদা পারভীন।

তার অভিযোগ, ৬ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মারধর ও তার মাথা ন্যাড়া করার ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জাহিদা পারভীণ ফেসবুকে ন্যাড়া মাথার ছবি দিয়ে প্রতিবাদ জানালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

শিক্ষিকা জাহিদা পারভীনের ফেসবুক পোস্টের পর শুক্রবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ওই শিক্ষিকা ফেসবুকে লেখেন, “স্কুলের মেয়েদের মাসখানেক কষ্ট করে খেলা শিখিয়ে মাঠে নিতে যাওয়ার আগের দিন তাদের ফ্র্যান্স বেণি করে ছবি তোলা ও খেলতে যাওয়ার অপরাধে আমার স্কুলের হেড মাস্টারের মেয়েদের চুল ধরে মারা ও বকার প্রতিবাদে নিজের মাথার চুল ফেলে দিয়েছি। খুব কি খারাপ দেখা যাচ্ছে? পুনশ্চঃ আমার মেয়েরা খেলার মাঠে খেলতে নামার অনুমতি পায়নি। স্কুলের সভাপতি আবার বর্তমানে চট্টগ্রামের সিডিএ’র চেয়ারম্যান এবং স্কুলটি উনার বড় আব্বার নামে।”

জাহিদার দাবি, ফ্রেঞ্চ বেণি করায় প্রধান শিক্ষিকা নীপা চৌধুরী স্কুলের কাবাডি দলের কয়েকজন ছাত্রীকে চুল টেনে মারধর করেন। সেই ক্ষোভ ও বেদনা থেকে প্রতিবাদ জানাতে তিনি বাসার পাশে সেলুনে গিয়ে মাথা ন্যাড়া করেন।

কেন ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার ছাত্রীরা আমার অর্ডারে ফ্রেঞ্চ বেণি করে। আর শাস্তি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা। নিজের কাছে খারাপ লেগেছে। দুঃখ, ক্ষোভ ও বেদনা থেকে মাথা ন্যাড়া করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছি।”

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আজ শুক্রবার প্রধান শিক্ষিকা নীপা চৌধুরী বলেন, “তিনি (জাহিদা) বেণি করায় মারধরের যে অভিযোগ করেছেন তা একেবারেই ভিত্তিহীন। তাদের মারধর করলে হাসিমুখে গ্রুপ ছবি কেনো তুলব? যেটি শিক্ষিকা জাহিদা পারভীন নিজেই তুলেছেন।”

স্কুল কমিটির সভাপতি সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ ডলফিন বলেন, “খাস্তগীর স্কুলে ইন্টার স্কুল স্পোর্টসের কাবাডি টুর্নামেন্টে অংশ নিতে নিয়ে গিয়েছিল তাদের। সেখান থেকে কমপ্লেইন্ট আসে। এজন্য ওই শিক্ষিকা পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরিচালনা কমিটির সভায় সেটি গ্রহণ করা হয়েছে।”

চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রধান করে গঠিত কমিটি আজ শুক্রবারই কাজ শুরু করেছে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, “তাদের দ্রুত সময়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় যেই দোষী হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত