ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

চট্টগ্রামে সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৩৩৮, মৃত্যু ৩

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:১৪

চট্টগ্রামে সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৩৩৮, মৃত্যু ৩
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২৬ জন। চলতি মাসে (২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩৮ জন। আর এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৩ জন।

সোমবার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, চলতি মাসে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ জন। গতকাল এ সংখ্যা ছিল ১৬ জনে। এই মাসেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩৮ জন। চলতি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩ জন মারা গেছেন।

তিনি বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে পটিয়া, সীতাকুণ্ড, সাতকানিয়া ও কর্ণফুলী থানা এলাকার রোগী রয়েছে। আমরা সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সংস্থাকে চিঠি দিয়ে মশা নিধনের বিষয়ে তাগাদা দিয়েছি।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর চট্টগ্রামে মোট ৪৮৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বর্তমানে ১৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া চলতি মাসে (২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩৮ জন। আর এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৩ জন।

ডেঙ্গুর জীবাণু মানুষের শরীরে আসে এডিস মশার মাধ্যমে। বর্ষায় বাসাবাড়িতে পানি জমে এই মশার বংশবিস্তার বেশি ঘটে। ২০০০ সালে বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গুর বড় ধরনের প্রকোপ দেখা দেয়। মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পরের বছরগুলোতে এর প্রকোপ খুব বেশি না হলেও ২০১৯ সালে তা ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ে। ওই বছর দেশে ডেঙ্গুতে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু এবং লক্ষাধিক মানুষ এতে আক্রান্ত হয়।

সীতাকুণ্ড উপজেলায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রফিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মামুনুর রশিদ বলেন, এডিশ মশা থেকেই মানুষের শরীরে ডেঙ্গু রোগ ছড়াচ্ছে। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে-জ্বর, শরীর ব্যথা, কফ, মুখ ও প্রস্রাব দিয়ে রক্তক্ষরণ, শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়ার নিচে রক্তক্ষরণ, ফুসফুস ও পেটে পানি জমাসহ নানা লক্ষণ দেখা দেয়। কোনও ব্যক্তির শরীরে এসব লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আফরোজা কালাম বলেন, আবহাওয়াগত কারণে নগরীতে এখন মশার উপদ্রব বেড়েছে। এডিস মশা যেন জন্মাতে না পারে সেজন্য নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে। পরিষ্কার ও বদ্ধ পানি এডিশ মশার প্রজনন ক্ষেত্র। তাই বাসাবাড়ির আশপাশে ডাবের খোসা, ফুলের টব, ছাদবাগান, ফ্রিজের ট্রে, এসির জমা পানি, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিক বোতল ও পানির ড্রামে যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত