ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

লঞ্চ যাত্রীদের মালামাল লুটে নেয়াই তাদের পেশা!

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:১৮  
আপডেট :
 ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:২৪

লঞ্চ যাত্রীদের মালামাল লুটে নেয়াই তাদের পেশা!
অজ্ঞান পার্টির একটি চক্রের দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ। ছবি: নিজস্ব

লঞ্চ যাত্রীদের টার্গেট করে মালামাল ও টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়া চুরি-ছিনতাই ও অজ্ঞান পার্টির একটি চক্রের দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বরিশালের বাকেরগঞ্জর পূর্ব দূর্গাপুর এলাকার সাহেব আলী বিশ্বাসের ছেলে মো. খাইরুল ইসলাম বিশ্বাস (৩০) ও একই এলাকার খালেক হাওলাদারের ছেলে মো. স্বপন হাওলাদার (৪২)।

সোমবার সদরঘারে লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে নৌ পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে লঞ্চ কেবিন খোলার কাজে ব্যবহৃত নকল চাবি, চুরি-ছিনতাই শেষে মালামাল বহনের কাজে ব্যবহৃত ব্যাগ, জুসের বোতল, দুটি মোবাইল ফোন, যাত্রীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া ৮ হাজার ৩০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন সময়ে সাধারণ লঞ্চ যাত্রীদের অজ্ঞান করে সর্বশান্ত করতো বলে জানিয়েছে নৌ পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজায় নৌ পুলিশের সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নৌ পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম বাহন যাত্রীবাহি লঞ্চ। আর এই লঞ্চে যাতায়াত করা মানুষকে টার্গেট করে মালামাল চুরি ও টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল একটি চক্র। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সুরভী ০৭ লঞ্চের ৩য় তলার একটি কেবিনে পরিবার নিয়ে ওঠেন রেজাউল করিম। কেবিনে মালামাল রেখে লঞ্চের ক্যান্টিনে খেতে যান। এসে দেখেন তার ব্যাগ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে।

পরে ভুক্তভোগী রেজাউল নৌ পুলিশের সদরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। চুরির ঘটনায় জড়িতদের ধরতে লঞ্চের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষন ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার সদরঘারে লঞ্চ টার্মিনালে সন্দেহজনকভাবে এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করার সময়ে ওই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে নৌ পুলিশের সদরঘাট থানা পুরিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছেন, তারা সদরঘাট কেন্দ্রিক ছিনতাই, চুরি ও অজ্ঞান পার্টির সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে অভিনব কৌশলে লঞ্চে চুরি করতো।

গৌতম কুমার বিশ্বাস আরও জানান, এমন কি এসব কাজ করতে গিয়ে চক্রের সদস্যরা যাত্রীদের বিভিন্নভাবে খাদ্যের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে অজ্ঞান করে যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নিতো এছাড়া বিভিন্ন সময়ে যাত্রীদের মালামাল ছিনতাই করতো।

নৌ পুলিশের এই পুলিশ সুপার জানান, চোর চক্রের মূলহোতা খাইরুলের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ থানায় ৩৮০ ধারায় চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত