বিদ্যালয়ের পানি পান করে ৬০ শিক্ষার্থী হাসপাতালে
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:২৩
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে একটি বিদ্যালয়ের টিউবওয়েলের পানি পান করে ৬০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার সকালে উপজেলার শিতলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। তাবে তারা সবাই এখন শঙ্কামুক্ত।
ঘটনার পর থেকেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে অভিভাবকদের মনে। খবরটি নিশ্চিৎ করেছেন হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মোহম্মদ আসাদুজ্জামান।
আরএমও জানান, বিদ্যালয়ের পানি পান করার পর প্রথমে চারজন ও পরে আরও তিনজন সিক্ষার্থী পেট ব্যথা ও বমির লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তাদের মাঝে তিনজন বেশি অসুস্থ। এই সাতজনের অসুস্থাতা দেখে মনে হয়েছে টিউবওয়েলের পানিতে খুব ভারি বিষ জাতীয় কিছু মেশানো হয়নি। তবে ছত্রাকনাশক কোনো রাসায়নিক মিশ্রিত পানি পানে এ ধরনের লক্ষণ দেখা যেতে পারে।
হাসপালাতের আরএমও আরও বলেন, আমরা পানি সংগ্রহ করেছি। তার নমুনা আগামিকাল ঢাকা পাঠানো হবে পরীক্ষার জন্য। এই সাত জনের বাইরে যারা এসেছেন তারা আতঙ্কিত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। আমরা সকলের চিকিৎসা দিচ্ছি। ৬০ জনেই এখন শঙ্কামুক্ত।
টিউবওয়েলে বিষজাতীয় কোনো কিছু মেশানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাদিয়ার ভাষ্য, পিপাসা লাগলে কয়েকজন বান্ধবী মিলে পানি পান করি। টিউবওয়েলের পানি পান করার পর থেকে পেট ব্যথা করতে শুরু করে। ধীরে ধীরে ৩০ মিনিটের মধ্যে অসুস্থ্যতা বোধ করি। তখন স্কুল থেকে ভ্যানে করে হাসপাতালে নেয়া হয় আমাদের।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলতাফুর রহমান বলেন, স্কুলে একটি ক্লাস শেষে ছাত্রীরা পানি করার পর এ ঘটনা ঘটে। সে সময় আমি স্কুলে ছিলাম না৷ স্কুলে ক্লাস বসিয়ে দিয়ে মেয়েকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিতে গিয়েছিলাম। এটি একটি ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার তিনি জোর তদন্ত চান।
চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এখন সবাই শঙ্কামুক্ত
হরিপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রাইহানুল ইসলাম মিঞা বিকালের দিকে জানান, স্কুলে টিউবওয়েলের পানি পান করে ৬ জনের মতো শিক্ষার্থী প্রথমে অসুস্থতার খবর পাওয়া যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষকে টিউবওয়েলের পানি পান বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কলা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ৩০ জনের মতো শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের খোঁজ নিতে গিয়ে এবং চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এখন সবাই শঙ্কামুক্ত। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যালয়ের টিউবওয়েলে কোনো বিষজাতীয় কিছু মেশানো হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এমনটি জানিয়েছেন। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে
