ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

চোরের ডাটাবেজ তৈরি হচ্ছে: ডিএমপি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:১৫

চোরের ডাটাবেজ তৈরি হচ্ছে: ডিএমপি
ডিএমপি'র সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি রাজধানীতে বেড়েছে চুরির ঘটনা। গত মাসে বিভিন্ন থানায় ৭৩টি চুরির মামলা হয়েছে। বাস্তবিক চিত্র এর চেয়েও বেশি। চুরির ঘটনা কমাতে চোরের ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এ কে এম হাফিজ আক্তার।

বুধবার বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, যখনই কোনো একটি ঘটনা বাড়তে থাকে তখনই তা কমানোর জন্য চেষ্টা করে ডিএমপি। এখন আমরা বিশেষভাবে চুরির ঘটনা মনিটরিং করছি। চুরির ঘটনায় আমরা একটি ডাটাবেজ ডেভেলপ করেছি। ঢাকার চার হাজারের বেশি চোরের ডাটাবেজ আমাদের কাছে আছে।

হাফিজ আক্তার বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুরে বাসা-বাড়ি ও দোকানে গ্রিল কাটা/তালা কাটা চোর চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার ও প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম আজিজুল হক ফকির (৪৭)। তিনি মাদারীপুরের শিরখাঁড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সেনপাড়া পর্বতা ঈদগাহ মাঠ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর বিভাগের কাফরুল থানা পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি লোহার শাবল সাদৃশ্য (খুন্তি), একটি বোল্ড কাটার, দুটি মেট্রো-গ-১৩-৮৫৮৯ লেখা গাড়ির নম্বর প্লেট, একটি তালা, একটি বড় স্কু ড্রাইভার, ১২টি শাড়ি, একটি প্লাস, একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ ১৭-৬৫৬৯), একটি মোবাইল ফোন, একটি প্রেসার মাপার যন্ত্র রাখার ব্যাগ, নগদ টাকা, হ্যান্ড ব্যাগ ও ৪৩৯ টাকার কয়েন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ডিএমপির কাফরুল থানায় একটি মামলা হয়েছে।

গ্রেপ্তার আজিজুল হক তার সহযোগী অন্যান্য আসামিদের তথ্য ও নাম ঠিকানা প্রকাশ করেছে। আজিজুল হক আসামিদের সহায়তায় ঢাকার বিভিন্ন এলাকার বাসা-বাড়িতে রাতে গ্রিল কেটে অন্তত ৫০০টি চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে হাফিজ আক্তার বলেন, এই ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি চোর চক্র রয়েছে। তারা প্রাইভেটকার নিয়ে সারা ঢাকা শহরে ঘুরে বেড়ায়। তারা নম্বর প্লেট পরিবর্তন করে প্রায়ই চুরি করে। তারা গ্রিল কাটা যন্ত্রাংশ তাদের সাথেই থাকে। ছোটখাটো যা পায় টার্গেট করে দ্রুত গ্রিল কেটে বা দরজা ভেঙে চুরি করে।

হাফিজ আক্তার বলেন, চোরের ডাটাবেজ তৈরির জন্য প্রতিটি থানাতেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। চেষ্টা করছি, আমাদের পুলিশিং যেন বিশ্বমানের হয়। কোনো কোনো থানায় এখনো হাই ও ত্রিমাত্রিক ছবি তুলে সংরক্ষণ করে তা ডাটাবেজে তুলে রাখা হচ্ছে। একবার কোনো চোর ডাটাবেজে ঢুকলে পরবর্তিতে জেল থেকে বের হলেও সে সার্ভিলেন্সে থাকবে। আমাদের সে সক্ষমতা আছে। এটা প্রতিনিয়ত চলতে থাকবে। চোর ভাল হলেও ডাটাবেজ থেকে যাবে। হয়তো তার বিরুদ্ধে ভালো হওয়ায় কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না। অপরাধীদের ডাটাবেজ যদি স্ট্রং না হয় তাহলে পুলিশিংয়ে সমস্যা হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/রাজু

  • সর্বশেষ
  • পঠিত