ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

গ্রেপ্তার এড়া‌তে ৩৪ বছর পা‌লি‌য়ে ছি‌লেন তি‌নি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:৪৩

গ্রেপ্তার এড়া‌তে ৩৪ বছর পা‌লি‌য়ে ছি‌লেন তি‌নি
সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. মাজহারুল আলম। ছবি: প্রতিনিধি

দুর্নীতি দমন আইনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. মাজহারুল আলম ওর‌ফে নাজিরকে (৭০) গ্রেপ্তার ক‌রে‌ছে র‌্যাব। রাজধানীর কাফরুল থানা এলাকা থে‌কে বৃহস্প‌তিবার তা‌কে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৪। ১৩ বছ‌রের সাজাপ্রাপ্ত মাজহারুল দীর্ঘ ৩৪ বছর পলাতক ছি‌লেন।

র‌্যাব-৪ জা‌নি‌য়ে‌ছে, গ্রেপ্তার মাজহারুল ১৯৮১ সালে নিজের সনদপত্র জালিয়াতি করে হরিরামপুর উপজেলা মুন্সেফি আদালত, মানিকগঞ্জে নাজির হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। কর্মরত থাকাকালীন আদালতের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে দুর্নীতিসহ জাল সিল ও স্বাক্ষর দিয়ে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করতেন।

নাজির হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালীন সরকারি অর্থ আত্মাসাৎ ও সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনা আদালতে কর্মরত উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানতে পারেন। প‌রে তার বিরু‌দ্ধে জাল সনদপত্র দাখিল করে নিজে চাকরিতে যোগদান ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে লোকজনকে কাগজপত্র প্রদানসহ সরকারী টাকা আত্মাসাৎ করার অপরাধে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইন মামলা হয়। এরপর মাজহারুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে সোর্পদ করে। মাজহারুল ৪ মাস কারাভোগ করে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান।

র‌্যাব জানায়, মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা মাজহারুলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। পরবর্তীতে চার্জশিটের ভিত্তিতে দায়রা জজ আদালত, মানিকগঞ্জ মামলার বিচারকার্য পরিচালনা করেন। পর্যাপ্ত স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে প্রতারণার মাধ্যমে জাল সনদপত্র দিয়ে চাকরি‌তে যোগদান ও সরকারি টাকা আত্মাসা‌তের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে ১৯৮৮ সা‌লের ১ ডি‌সেম্বর চার্জশিটে অভিযুক্ত আসামি মাজহারলে‌কে ১৩ বছরের সাজা প্রদানসহ ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ঘটনার পর থে‌কে মাজহারুল দীর্ঘ ৩৪ বছর ধ‌রে পলাতক ছিলো।

মাজহারুল জিজ্ঞাসাবাদে জানি‌য়ে‌ছেন, তি‌নি ১৯৫২ সালে মানিকগঞ্জের নালড়া এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। স্থানীয় একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে আসামি বিবাহিত এবং বর্তমানে তার পরিবারের দুই ছেলে সন্তান রয়েছে।

র‌্যাব জানায়, আত্মগোপনে থাকাকালীন পরিচিত লোকজন থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখ‌তে ঘটনার পর পরই সে ঢাকায় চ‌লে আসেন। প্রথমদিকে তি‌নি ঢাকায় মুদি দোকানি ও পরে ওষুধের দোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এরপর তি‌নি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ছোটখাটো ঠিকাদারি করতেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/রাজু

  • সর্বশেষ
  • পঠিত