ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রেমের টানে জয়পুরহাটে শ্রীলঙ্কান যুবক

  জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২২, ১৭:৫০

প্রেমের টানে জয়পুরহাটে শ্রীলঙ্কান যুবক
রাহেনা বেগম ও রোশান মিঠুন। ছবি: প্রতিনিধি

কথায় আছে প্রেম কোনো বাধা মানে না। মানে না কোনো জাত-ধর্ম। তাইতো প্রেমের টানে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে প্রায়শই বাংলাদেশে ছুটে আসছেন ভিনদেশি তরুণ-তরুণীরা। এবার এক যুবতীর প্রেমের টানে উত্তরাঞ্চলের জেলা জয়পুরহাটে এসেছেন শ্রীলঙ্কান এক যুবক।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার উত্তর পাথুরিয়া গ্রামের শাহাদুল ইসলামের মেয়ে রাহেনা বেগম (৩১)। চাকরির জন্য ২০১৪ সালে জর্ডানে পাড়ি জমান। পরে তিনি একটি গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকরিতে যোগদান করেন। একই কোম্পানির সুপাইভাইজার হিসেবে চাকরি করতের শ্রীলংকান যুবক রোশান মিঠুন (৩৩)। চাকরির করার সুবাদের তাদের দুজনের পরিচয় হয়। এরপর গড়ে ওঠে তাদের প্রেম।

রাহেনা বেগম বলেন, পারিবারিকভাবে অল্প বয়সে বিয়ে হয় আমার। আমার একটি সন্তানও রয়েছে। জর্ডানে যাওয়ার কিছুদিন পর আমার স্বামী আমাকে ডিভোর্স দেয়। পরে জর্ডানে আমার কোম্পানির সুপাইভাজার রোশানের সঙ্গে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে আমাদের প্রেম হয়। দেড় বছর আগে নিজ দেশ শ্রীলংকায় ফিরে যান রোশান। এরপর আমরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু করোনার কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আমি দেশে ফিরে আসি।

তিনি আরও বলেন, এরপর ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা হয় আমাদের। তার পরিবারের সঙ্গেও আমার কথা হয়। এরপর রোশান ২২ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা থেকে বাংলাদেশে আসেন। পরে তাকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে জয়পুরহাটের বাড়িতে নিয়ে আসি। দুই পরিবারের সবার সম্মতিক্রমে ২৯ সেপ্টেম্বর এফিডেভিট (হলফনামা) করে আমরা বিয়ে করি।

শ্রীলংকান যুবক রোশান মিঠুন অল্প অল্প বাংলাতে বলেন, আমি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষকে খুব ভালোবাসি। আমি এখানে এসে বিয়ে করেছি। এখানেই থাকতে চাই।

উত্তর পাথুরিয়া গ্রামের প্রতিবেশী ইনু আরা বেগম বললেন, শ্রীলঙ্কান যুবক হলেও রোশানকে আমাদের বাংলাদেশের ছেলেদের মতো মনে হয়েছে। আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি সে শ্রীলঙ্কার মানুষ।

আরেক প্রতিবেশী শাহাজান আলী বলেন, প্রথমে একটু শুনে অবাক হলাম। জয়পুরহাটে আমাদের এই গ্রামে এসে শ্রীলঙ্কান এক যুবক রেহেনাকে বিয়ে করেছে। তাদের এই দাম্পত্য জীবন সুখী হক।

এ বিষয়ে রাহেনার বাবা শাহাদুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে রাহেনা জর্ডানে থাকাকালীন রোশানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমার মেয়ে আমাকে বিষয়টি জানায়। পরে শ্রীলঙ্কান ছেলে রোশানের পরিবারের সঙ্গে আমি নিজে কথা বলি। তাদের কথা অনেক ভালো লেগেছে। এক পর্যায়ে ছেলেটিকে আমি বাংলাদেশে আসতে বলি। এরপর তাদের বিয়ে দেয়া হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত