ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

সাবেক ইউএনও ওয়াহিদাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ফের পেছালো

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২২, ১৭:২১

সাবেক ইউএনও ওয়াহিদাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ফের পেছালো
ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক ইউএনও ওয়াহিদা খানম। ফাইল ফটো

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা আলী শেখকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আবারও পিছিয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রায়ের নির্ধারিত দিনে বিচারকের বদলির কারণ দেখিয়ে আগামী ২০ অক্টোবর যুক্তিতর্কের পুনঃপর্যালোচনার দিন নির্ধারণ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দিনাজপুর কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, আজ (৪ অক্টোবর) রায় ঘোষণার দিন ধার্য থাকলেও সেটি হয়নি। আদালতের বিচারক বদলি হওয়ায় নতুন বিচারক দায়িত্ব পালন করছেন। তাই মামলার রায় পেছানো হয়েছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওই মামলাটির যে যুক্তিতর্ক হয়েছিল সেটির পুনঃপর্যালোচনা করবেন নতুন বিচারক। এজন্য আগামী ২০ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে। ওইদিন মামলাটির যুক্তিতর্কের পুনঃপর্যালোচনা পর রায়ের তারিখ ঘোষণা হতে পারে।

তিনি জানান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতে বদলি হয়েছেন। আর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতে নতুন বিচারক হিসেবে বেগম সাদিয়া সুলতানা যোগদান করেছেন।

কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আরও জানান, দিনাজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথম থেকে মামলাটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। কিন্তু মামলাটি শেষের দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতে হস্তান্তর করা হয়। সেখানেই গত ২৬ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি হয়। মামলাটিতে মোট ৫৩ জন সাক্ষী দিয়েছেন। মামলার একমাত্র আসামি ইউএনও'র বাসভবনের বরখান্তকৃত মালি রবিউল ইসলাম উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। তবে তার উপস্থিতিতেই আদালতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি ভবনে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় তাদেরকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দুপুর ১টায় হেলিকপ্টারে করে ওয়াহিদাকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ওয়াহিদার ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ ও র‍্যাব কয়েকজনকে আটক করে। ১১ সেপ্টেম্বর রাতে বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের খতিব উদ্দীনের ছেলে ইউএনও'র বাসভবনের সাবেক কর্মচারী রবিউল ইসলামকে আটক করা হয়। ২০ সেপ্টেম্বর তাকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৭ এর বিচারক ইসমাইল হোসেনের এজলাসে উপস্থিত করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

২১ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ইমাম জাফর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রবিউলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত