পাবনায় হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পর নারীসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২২, ২২:১৪
পাবনায় হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পর এক নারীসহ ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান মুন্নী এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সাঁথিয়ার ভিটাপাড়া গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে বাছেদ, আব্দুল রহিমের ছেলে ফুলচাদ, আব্দুল রহিমের স্ত্রী আলেয়া খাতুন, মৃত হযরত আলীর ছেলে মিন্টু আজম, শহীদ আলীর ছেলে খোকন মিয়া, আব্দুল মালেকের ছেলে শামীম হোসেন, সকিম উদ্দিনের ছেলে আনার, মৃত ওহাবের ছেলে শাহাদাত এবং মৃত জুলমতের ছেলে গোকুল। এদের মধ্যে একজন মামলা চলাকালীন সময়ে মারা গেছেন। রায় ঘোষণার সময় সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আইয়ুব নবী ওরফে নাউদের সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তিদের নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে শত্রুতা চলছিল। এরই জের ধরে ২০১১ সালের ২৬ জুলাই রাতে আইয়ুব নবীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান তারা। পরদিন ২৭ জুলাই সাঁথিয়ার ভিটাবাড়ি নামক স্থানে ভাসমান একটি নৌকার ওপর আইয়ুবের খণ্ডিত মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এছাড়া নিহতের স্ত্রী সুলতানা বেগম বাদী হয়ে আদালতে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উভয় মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরের ২৪ নভেম্বর ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। মামলা চলাকালীন সময়ে এক আসামির মৃত্যু হয়। দীর্ঘ সাক্ষ্য-শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইউসুফ আলী সরদার বলেন, এটা একটি পূর্বপরিকল্পিত জঘন্য হত্যাকাণ্ড। সাক্ষ্য ও তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আদালত তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ মতিন জানান, সাক্ষ্য ও তদন্তে অভিযোগগুলো প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। এই রায়ে তার মক্কেলরা ন্যায়বচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে