ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

পুকুর পাড়ে পড়ে ছিলো নবজাতক

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২২, ২৩:১৫

পুকুর পাড়ে পড়ে ছিলো নবজাতক
পুকুর পাড়ে পড়ে থাকা নবজাতক। ছবি: প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় একটি পরিত্যক্ত পুকুর পাড় থেকে জীবিত এক নবজাতক শিশু পাওয়া গেছে। বর্তমানে ওই নবজাতক শিশুটিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকুলা গ্রামের তেকনাপাড়া এলাকায় জীবিত এই নবজাতক শিশু পাওয়া যায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দহকুলা গ্রামের তেকনাপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের বসত বাড়ির একটি পরিত্যক্ত পুকুর পাড়ে ওই নবজাতকের কান্না শুনে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পান। এক দিন বয়সী ওই নবজাতক একজন কন্যা। তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ্বাস জানান, বর্তমানে ওই নবজাতক শিশুটিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে। তার অবস্থা এখন বেশ ভালো আছে। সার্বক্ষণিক ওই নবজাতকের খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান জানান, কে বা কারা লোক চক্ষুর অন্তরালে ওই নবজাতক শিশুকে পুকুর পাড়ের ঝোপে ফেলে পালিয়ে যায়। ওই নবজাতকের প্রকৃত পিতা-মাতাকে শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কুষ্টিয়া

সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ মুরাদ হোসেন জানান, শিশুটির জন্য দুধ কিনে দেয়া হয়েছে। নবজাতকটির পোশাক থেকে শুরু করে তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চাহিদা মাফিক সবকিছু সরবরাহ করছেন। তার চিকিৎসায় কোনো ক্রটি রাখা হচ্ছে না।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বেলা তিনটার দিকে দহকুলা থেকে শাহারা খাতুন নামের এক নারী একটি নবজাতক নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইকবাল হোসেন জানান, এক দিনের নবজাতক মনে হচ্ছে। শিশুটির শারীরিক অবস্থা বেশ ভালো। তারপরও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েক দিন তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান, শিশুটির সব রকম চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সার্বিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। শিশুটির বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে এক নারী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে একটি ছেলে শিশু জন্ম দিয়ে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সেখানে রেখে শিশুটিকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিলেট বিভাগে কর্মরত নি:সন্তান এক জন এসিল্যান্ডের (ম্যাজিষ্ট্রেট) হাতে শিশুটির দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/জিকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত