ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

এক গাড়ি ৩০ জনের কাছে বিক্রি করেন জাকির চেয়ারম্যান

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২২, ১৪:০৮

এক গাড়ি ৩০ জনের কাছে বিক্রি করেন জাকির চেয়ারম্যান
উদ্ধার হওয়া মাইক্রোবাস। ছবি: বাংলাদেশ জার্নাল

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির হোসেন প্রতারণার মাধ্যমে একই গাড়ি ৩০ থেকে ৪০ জনের কাছে বিক্রি করার প্রমাণ পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

সম্প্রতি ৪ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে জাকিরের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ২০ টি মাইক্রোবাস উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত ক‌মিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মুগদা থানায় জাকির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা করেন একজন ভুক্তভোগী। মামলাটি গোয়েন্দা তেজগাঁও জোনাল টিম ছায়াতদন্ত শুরু করে।

তদন্তে জানা যায় যে, আসামি জাকির হোসেন পোর্ট থেকে স্বল্প দামে গাড়ি ক্রয় করে দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিত। এছাড়া জাকিরের কাছ থেকে কেনা গাড়ি আবার চুক্তির মাধ্যমে নিজেই রেন্ট এ কারের মাধ্যমে মাসিক ভাড়ার চুক্তিতে নিত।

একই গাড়ি এভাবে একাধিক ব্যক্তির কাছে ভুয়া কাগজপত্র করে বিক্রি করে জাকির। একই রেজিস্টেশন নাম্বারের গাড়ি একাধিক জাল দলিলের মাধ্যমে বিক্রি করত সে। আবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে কারো সঙ্গে শুধু ইঞ্জিন নাম্বার দিয়ে মাসিক কিস্তি পরিশোধের ভিত্তিতে কিছুদিন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধ করে পরবর্তীতে কিস্তি দেয়া বন্ধ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে। এছাড়াও পূর্বের বিক্রয়কৃত গাড়ি স্বল্প মূল্যে মালিকানা হস্তান্তরের লোভ দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, প্রতারক জাকির প্রতারণার মাধ্যমে ৬০ থেকে ৭০টি গাড়ি দেখিয়ে বিভিন্ন পেশাজীবী ৬০০ থেকে ৭০০ জনের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। যাদের মধ্যে ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা, সরকারের এমপি রয়েছে। প্রকৃত পক্ষে তার মোট গাড়ির সংখ্যা ৬৭টি।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এখন পর্যন্ত প্রতারণার মাধ্যমে বিক্রি করা ২০টি গাড়ি দেশের বিভিন্ন স্থান হতে উদ্ধার করেছে। আরও ৪০টি গাড়ির প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। উদ্ধারের জন্য অভিযান চলমান আছে। একটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দেখিয়ে ৩৭ জনকে ষ্ট্যাম্প করে বিক্রি করেছে।

গ্রেপ্তার জাকিরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, ৫ থেকে ৬ জনের সহযোগীর প্রত্যক্ষ সহায়তায় সে প্রতারণা করতো। সে আনুমানিক হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে। মুন্সীগঞ্জ (বিক্রমপুর), একটি গ্রামের লোকদের কাছে ১২২টি গাড়ি বিক্রির কথা বলে প্রতারণা করেছে। জাকির হোসেন তার প্রতিষ্ঠান আর কে মটরস এর নামে এবং তার আত্মীয় স্বজনের নামে ২৭টি ব্যাংক একাউন্ট এর তথ্য পাওয়া গেছে।

জাকির হোসেন এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। জাকিরের প্রতারণরা বিষয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাকে আবারও রিমান্ডে আনা হবে বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত