ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

পদ্মা সেতুর রেলপথে পরীক্ষামূলক ‘ট্র্যাক কার’

  ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২২, ১৫:৫৮  
আপডেট :
 ০১ নভেম্বর ২০২২, ১৬:২০

পদ্মা সেতুর রেলপথে পরীক্ষামূলক ‘ট্র্যাক কার’
ট্র্যাক কার। ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত পর্যন্ত প্রায় ৩২ কিলোমিটার নতুন রেলপথে পরীক্ষামূলক ‘ট্র্যাক কার’ চলাচল শুরু হয়েছে। এই পুরো পথে আধুনিক রেললাইন বসে যাওয়ায় প্রথমবারের মতো রেল চালিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভাঙ্গা রেলস্টেশন সংলগ্ন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প এলাকা থেকে এ ট্র্যাক কারটি ছেড়ে যায়।

পদ্মা সেতু রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দুপুর পৌনে ১টার দিকে পরীক্ষামূলক ওই ট্র্যাক কারটি পদ্মা স্টেশন পার হয়ে ভায়াডাক্টে যায়। বর্তমানে এটি সেখানে অবস্থান করছে। পরীক্ষামূলক ট্রেনটি বিশেষ আকৃতিতে নির্মিত একটি বিশেষ রেল ইঞ্জিন। এটি ‘গ্যাংকার’ নামে পরিচিত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী-সিএসসির (কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট) সহযোগিতায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বেসরকারি সংস্থা ‘ডর্প’ এটি বাস্তবায়ন করছে।

ভাঙ্গা স্টেশনের ম্যানেজার মো. শাহজাহান বলেন, বিশেষ আকৃতিতে নির্মিত রেল ইঞ্জিনটি গ্যাংকার নামেও পরিচিত। পরীক্ষামূলক এই গ্যাংকারটি ভাঙ্গা থেকে ৩২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পদ্মা সেতুর দক্ষিণে জাজিরার ভায়াডাক্টে পৌঁছায়।

এদিকে ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটারের মধ্যে চার কিলোমিটার পাথরবিহীন ও ২৮ কিলোমিটার পাথরসহ রেললাইন বসে গেছে। এই রেললাইন ভাঙ্গার পুরোনো রেললাইনের সঙ্গে যুক্ত।

স্টেশন ইনচার্জ অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদ বলেন, কয়েক দিন আগে এই পথের কাজ শেষ হয়েছে। চীনের তৈরি গ্যাঙকারটি পরীক্ষামূলক চালানো হয়। কিছুটা ধীরগতিতে ট্র্যাক কার চালিয়ে দেখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচলের টার্গেট রয়েছে আগামী জুনে। মাওয়া রেল স্টেশনের অগ্রগতি প্রায় ৮৫ শতাংশ ও জাজিরা প্রান্তের পদ্মা রেল স্টেশনের কাজের অগ্রগতি ৭৭ ভাগের বেশি। তবে রাজধানী থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেললিঙ্ক প্রকল্প শেষ হবে ২০২৪ সালে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত