ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ধামরাইয়ে ছাত্রলীগের সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ

  ধামরাই (ঢাকা) সংবাদদাতা

প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২২, ১৪:২৪

ধামরাইয়ে ছাত্রলীগের সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ
ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্রলীগ। ছবি: সংবাদদাতা

ঢাকার ধামরাইয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাথায় ও গায়ে কাফনের কাপড় পরে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকেন। জঙ্গি মামলার আসামির ভাই ছাত্র শিবিরের কর্মী আব্দুল্লাহ আশ শাবিবকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ এবং ছাত্রদলের নেতা জামিল হোসেনকে টাকার বিনিময়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ দেয়ায় আন্দোলনে নামেন নেতাকর্মীরা। মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করায় রাস্তার উভয় পাশে প্রায় ৫ কিলোমিটার জুড়ে যানযট লেগে যায়। পরে থানা পুলিশ এসে ছাত্রলীগের অবরোধ সরিয়ে দিয়ে দিলে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করেন।

সোমবার সকালে ধামরাই থানা বাসস্ট্যান্ডে ধামরাই প্রেসক্লাবের সামনে এই অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

আন্দোলনে নেতাকর্মীরা বলেন, ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জামিল হোসেনকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ দেন। শুধু তাই নয় জঙ্গি মামলার আসামির ভাই শিবির কর্মী আব্দুল্লাহ আশ শাবিবকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলন করতে থাকেন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগে কখনো জামায়াতশিবির, বিবাহিত ছাত্রদলের নেতা পদ পেতে পারেন না। টাকার বিনিময়ে কেন তাদের পদ দেয়া হলো প্রশ্ন রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আওয়াল রুবেল বলেন, ‘জামিল বিবাহিত, তার ছাত্রলীগ করার বয়স নাই। তাকে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পদ দেয়া হয়েছে এবং জঙ্গি মামলার আসামির ভাই আব্দুল্লাহ আশ শাবিবকে উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেয়া হয়েছে।’

ধামরাই সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম গত ৪ নভেম্বর ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জামিলকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ দেন। জামিল প্রবাসে কর্মরত ছিলেন। আব্দুল্লাহ আশ শাবিব একজন শিবির ক্যাডার। তাকে দেয়া হয়েছে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ। অথচ শাবিবের দুই ভাই জঙ্গি মামলার আসামি। যদি শিগগির এই অবৈধ পকেটকমিটি বাতিল না করে, তাহলে আমরা অনশন চালিয়েই যাবো।’

জেলা ছাত্রলীগের ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক তুষার আহমেদ শান্ত বলেন, যদি অবৈধ কমিটি বাতিল করা না হয় তবে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো। সাইদুল ও মনিরের বহিষ্কারও চান তিনি।

তবে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি জামিল হোসেনকে ফোন করলে তিনি বলেন, যারা এসব করেছে তারা পদপ্রার্থী ছিল। কিন্তু সবাই তো পদে আসবে না। তারাই অযথা ভিত্তিহীন কথা ছড়াচ্ছে। পদ না পেয়ে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার ওসি (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস বলেন, মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা এসে অবরোধ সরিয়ে দিয়েছি। কোন ধরনের সমস্যা হয়নি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত