ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪০ মিনিট আগে
শিরোনাম

নানা আয়োজনে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উদযাপন

জ্বালানো হলো ১ হাজার ৭৪ মোমবাতি

  গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২২, ১৮:০৬

নানা আয়োজনে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উদযাপন
জন্মদিনে কেক কাটা হচ্ছে। ছবি: প্রতিনিধি

কেক কেটে, মেমবাতি জ্বালিয়ে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের ৭৪তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে।

রোববার রাত ১২টা ১ মিনিটে নুহাশপল্লীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে জন্মদিনের আয়োজন শুরু হয়। রাতে নুহাশপল্লীতে ১ হাজার ৭৪টি মোমবাতি প্রজ্জলন করা হয়।

নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, রোববার ভোরে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন তার দুই সন্তান নিশাত ও নিনিতকে নিয়ে নুহাশপল্লীতে যান। সকালে দুই সন্তান, নুহাশপল্লীর কর্মকর্তা-কর্মচারি, অসংখ্য হুমায়ূনভক্তদের নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে লেখকের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। পরে সেখানকার হোয়াইট হাউজের সামনে কেক কাটা হয়।

হুমায়ূন আহমেদ জীবিত থাকার সময় যেভাবে জন্মদিন পালন করতেন তার মৃত্যুর পর ঠিক এভাবেই প্রতিবছর প্রিয় লেখকের জন্মদিন পালন করা হয়।

গাজীপুর সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার ভেতরে পিরুজালী এলাকায় অবস্থিত নুহাশপল্লী। সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের নানা বয়সী ভক্তরা। কবরে ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। তারা হুমায়ূন আহমেদের নিজ হাতে সাজানো গোছানো নুহাশপল্লীর বিভিন্ন স্থাপনা এবং নান্দনিক শিল্পকর্ম ঘুরে দেখেন। বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও নুহাশপল্লীতে আসেন তাদের প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের সমাধিস্থলে। তারা ঘুরে দেখেন নুহাশপল্লীর পুরো এলাকা।

মেহের আফরোজ শাওন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলা সাহিত্যের শুদ্ধ চর্চা জানি না, তবে বাংলা ভাষার শুদ্ধ চর্চা কমে গেছে। হুমায়ূন আহমেদের দর্শনে উদ্বুদ্ধ হয়ে সর্বস্তরে শুদ্ধতম বাংলা ভাষার চর্চা হোক এমনটা প্রত্যাশা লেখকের পরিবারের। বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় বড় শহরের অনেক ধনি পরিবারের ছেলে মেয়েরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে লেখাপড়া করছেন। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ার কারণে বাচ্চাদের মধ্যে বাংলার একটি ভয় ঢুকে গেছে।

তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে করোনা মহামারীতে শিশুরা অনলাইনে ক্লাস করার কারণে অনেক শিশু মোবাইলের দিকে ঝুঁকে গেছে। বাধ্য হয়ে বাবা-মারাই শিশুদের হাতে মোবাইল তুলে দিয়েছেন। শিশুরা দিন দিন মোবাইলে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। এখন ইচ্ছে করলেও তাদের সেখান থেকে ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীর লিচু তলায় তাকে সমাহিত করা হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত