ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

আশুগঞ্জ ও রামপাল থেকে হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, কেটে যাবে সংকট

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২২, ০৮:২৪  
আপডেট :
 ২৮ নভেম্বর ২০২২, ০৮:৩৩

আশুগঞ্জ ও রামপাল থেকে হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, কেটে যাবে সংকট
আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হওয়ায় জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে আরও ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আর ডিসেম্বরে বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। এরফলে চলমান বিদ্যুৎ সংকট কেটে যাবে বলে ধারণা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ২৬ নভেম্বর রাতে দেয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আজ থেকে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হলো আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রে। এবং জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। দারুণ এ অর্জনের সাথে যারা যুক্ত ছিলেন আছেন, সবাইকে অজস্র শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন!’

এদিকে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে আবারও পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে। ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। ২৭ নভেম্বর সর্বোচ্চ সক্ষমতায় ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে যায় কেন্দ্রটি। আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় গ্রিডে বাণিজ্যিকভাবে এই বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা রয়েছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের।

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে বলেন, ‘পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন পর্যায়ক্রমে বাড়ছে। সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ না হওয়ায় প্রথম দিকে প্রথম ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খুলনা অঞ্চলে সরবরাহ করা হবে।’

সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তসীমা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বিআইএফপিসিএল।

বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে নির্মাণাধীন কেন্দ্রটির প্রতি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। পরীক্ষামূলক উৎপাদন পর্যায় সম্পন্ন হলে আগামী ডিসেম্বরে কেন্দ্রটিতে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে।

এর আগে গত ১৫ আগস্ট কেন্দ্রটিতে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছিল। কিন্তু গত ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাত থেকে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়। প্রায় এক মাস পর পুনরায় উৎপাদন শুরু হলো।

বিদ্যুৎ সংকটে চলতি বছরের ১৯ জুলাই থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু করে সরকার। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) ও ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) প্রতিদিন এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টা করে শিডিউল প্রকাশ করে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত