জঙ্গি ছিনতাই
দায় এড়াতে পারে না আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনী: র্যাব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪:১১
ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায় এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, যদি আগাম গোয়েন্দা তথ্য থাকত তাহলে এই ঘটনায় আমাদের প্রস্তুতি থাকত। পূর্ব প্রস্তুতি থাকলে পদক্ষেপ নেয়া সহজ হতো এবং তাহলে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা রোধ করতে পারতাম। এ জন্য আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায় এড়াতে পারি না।
আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা সম্পর্কে দেশবাসী জানতে চায়। জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আগাম গোয়েন্দা তথ্য ছিল কি না? আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায় এড়ানো যায়? ছিনতাই হওয়া জঙ্গিরা কোথায়? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার মঈন বলেন, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছিনতাই হওয়া দুই জঙ্গিকে পুনরায় গ্রেপ্তারে র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। যারা আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়েছে তাদের আগের অপরাধ কার্যক্রম, তাদের বিচরণ, সিসিটিভি বিশ্লেষণসহ সার্বিক দিক মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাই বা পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে আমরা দায় এড়াতে পারি না। যদি আগে গোয়েন্দা তথ্য থাকত, তাহলে এই ঘটনায় আমাদের প্রস্তুতি থাকত। পূর্ব প্রস্তুতি থাকলে পদক্ষেপ নেয়া সহজ হতো, আমরা জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা রোধ করতে পারতাম। এজন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায় এড়াতে পারি না।
আরও পড়ুন...যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত র্যাব: মূখপাত্র
এ ধরনের ঘটনা রোধে সবারই সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন উল্লেখ করে কমান্ডার মঈন বলেন, আমরা মনে করি, কারাগারে নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিভাগ, গোয়েন্দাসহ সবার পক্ষ থেকে যদি সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হতো তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না।
২০১৪ সালে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছিলেন। তার অনেকদিন পর এমন একটি ঘটনা ঘটল।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, আমরা সবসময় নজরদারি রাখছি। আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাবসহ অন্যান্য সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ করে যাচ্ছে।
পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি কোথায়, দেশে নাকি দেশের বাইরে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আল মঈন বলেন, এই মুহূর্তে এটা বলার অবকাশ রাখে না। আমরা কাজ করছি। আমরা তাদের পালানো, বিচরণ, সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহসহ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছি।
গত ২০ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছিনিয়ে নেয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে। তারা হলেন- আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য মইনুল হাসান শামীম ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল। পুলিশের চোখে স্প্রে ছিটিয়ে, কিল-ঘুষি মেরে ছিনিয়ে নেয়া হয় তাদের।
বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/ওএফ
