ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগে কারাগারে আইনজীবী

  জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ২১:৪০

ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগে কারাগারে আইনজীবী

জয়পুরহাটে চেকের মামলায় ব্যাংক চালান জালিয়াতি করে আসামিকে জামিন করানোর অভিযোগে ওই আইনজীবীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার বিকেলে আদালতে হাজিরা দিতে আসলে আদালত ওই আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নীশিথ রঞ্জন বিশ্বাস এ আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহনুর রহমান।

সাজাপ্রাপ্ত ওই আইনজীবীর নাম আনিছুর রহমান। তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২৮ লাখ ১৬ হাজার টাকা চেকের টাকা পাওয়াকে কেন্দ্র করে আদালতে মামলা করেন বাদী আমানুল্লাহ। সেই মামলায় অভিযুক্ত সোহেল রানাকে কারাগারে পাঠান আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, চেকের ওই মামলার বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আনিছুর রহমান। গত বছর ১১ নভেম্বর আইনজীবী আনিছুর রহমান আসামি সোহেল রানার চেকে উল্লিখিত সমপরিমাণ জরিমানার টাকার (২৮ লাখ ১৬ হাজার টাকা) অর্ধেক ১৪ লাখ ৮ হাজার টাকা সোনালী ব্যাংকের ৮৩ নম্বর চালান মূলে জমা দেন। এরপর টাকা জমার কাগজপত্র দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দাখিল করেন। এতে অভিযুক্ত সোহেল রানাকে জামিন দেন আদালত।

তবে বাদীপক্ষের আইনজীবীরা চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ব্যাংক ও আদালতে চালান মূলে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, আদালতে জমা দেয়া ৮৩ নম্বর ব্যাংকের চালানে কোনো ব্যাংকে টাকা জমা করা হয়নি। বরং আসামিকে কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত করার জন্য আইনজীবী, কারারক্ষী ও মুহুরিসহ ৬ জন যোগসাজশ করে ভুয়া ব্যাংকের চালান ও অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি করেন। জালিয়াতি করে সোহেল রানাকে জামিনে মুক্ত করেন তারা।

বিষয়টি বাদী ও ব্যাংকের কাছে সন্দেহজনক বলে মনে হলে বিষয়টি গোয়েন্দা পুলিশকে জানান। গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে কাগজপত্র জালিয়াতির সত্যতা উদ্‌ঘাটন করেন। এ ঘটনায় ওই আইনজীবী, মুহুরি ও কারারক্ষীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে জয়পুরহাট থানায় বাদী হয়ে চলতি বছরের ৮ নভেম্বর, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম মামলা দায়ের করেন।

সেই মামলার আইনজীবী আনিছুর রহমান ভারতে পলাতক ছিলেন। সোমবার জয়পুরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন চাইতে আসেন তিনি। তখন বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করেন। এরপর আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহনুর রহমান বলেন, ব্যাংক চালান জালিয়াতির ঘটনায় আইনজীবী আনিছুর রহমান জড়িত ছিলেন না। এ ঘটনায় তিনি নিজেই বাদী হয়ে একটি মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশ।

আইনজীবী আরও শাহনুর বলেন, আবার একই ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশ বাদী হয়ে আইনজীবী আনিছুর রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আইনজীবী আনিছুর রহমানকে পরিকল্পিতভাবে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। আজকে তার জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেছেন। অসত্য ও সাজানো মামলায় আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত