বিএনপি কার্যালয় থেকে ১৬০ বস্তা চাল, পৌনে দুই লাখ বোতল পানি জব্দ

প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১৩:২৫ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

চাল, পানি জব্দ। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে রাজধানীসহ সারাদেশে। বিএনপি নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায়। অন্যদিকে সরকার নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দিতে নারাজ। ডিএমপির পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে সেখানে সমাবেশ করতে নারাজ বিএনপি। এ নিয়ে বিতর্ক ও আলোচনার মধ্যেই গতকাল বুধবার বিকেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজধানীর নয়াপল্টন। 

সংঘর্ষে মকবুল আহমেদ নামে একজন নিহত এবং অর্ধশত বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থক আহত হন। এর মধ্যে ২৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। 

সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনের কার্যালয়ের ভেতরে তল্লাশি চালায় পুলিশ, যা শেষ হয় রাত নয়টায়। এরপর ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ নয়াপল্টনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এই অভিযানে ৩০০ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। একইসাথে ১৬০ বস্তা চাল, পৌনে দুই লাখ বোতল পানি, দুটি ট্রাক এবং অন্তত অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ। এসব আনা হয়েছিলো রান্নাবান্না করে খেয়ে দেয়ে অবস্থান নেয়ার জন্য। সমাবেশের ৩ দিন আগে থেকেই তারা নয়া পল্টনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলো। 

আগামী ১০ ডিসেম্বরের বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে কার্গো ভ্যানে ভর্তি চাল আনা হয়েছিলো। যেন তিনদিন আগে থেকেই দলীয় কার্যালয়ের আশপাশে অবস্থান করা নেতা-কর্মীদের খাওয়ানো যায়। তবে বুধবার দুপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশ টিয়ার শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হটিয়ে দেয়। 

গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার রাজীব আল মাসুদ জানান, কার্গো ভর্তি চাল আনা হয়েছিলো বলে তারা জানতে পেরেছেন। কার্গোর চালক পালিয়ে গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

বিএনপির কার্যালয় ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান চালিয়েছে। ভেতর থেকে অন্তত তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। এ সময় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রচারণার জন্য আনা মাইকসহ দুটি ট্রাক রেকারের মাধ্যমে সরিয়ে নেয় পুলিশ। এ ছাড়া কার্যালয়ের আশপাশ থেকে অন্তত অর্ধশতাধিক মোটরবাইক পুলিশ ভ্যানে করে পল্টন থানায় নেয়া হয়।

পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, অনুমতি ছাড়াই বিএনপির নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনেই বিএনপি দশ তারিখে সমাবেশ করতে চেয়েছিলো। এ জন্য তারা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিলো। নেতা-কর্মীদের রান্না করে খাওয়ানোর জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছিলো। 

বাংলাদেশ জার্নাল/রাজু