গাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ মামলা: ছাত্রদল-যুবদলের ৩ নেতা গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯:৫৭

ঢাকায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নগরীর আলমাস সিনেমা হলের সামনে মশাল মিছিল, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রদলের ৩ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
|আরো খবর
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টায় নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির।
গ্রেপ্তাররা হলেন— উত্তর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. ইরফানুল হাসান রকি, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আরিফুর রহমান, নগর যুবদলের সদস্য মো. নজরুল ইসলাম।
ওসি জাহেদুল কবির বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় আলমাস সিনেমা হলের সামনে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এক গাড়ির মালিক মামলা দায়ের করেন। পরে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এ মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তারা পুলিশ হেফাজতে আছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণ, গণ গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল। মিছিল থেকে আলমাস সিনেমা হলের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্রাইভেটকারে অগ্নিসংযোগ ও দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে এক গাড়ির মালিক ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
তবে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মুহাম্মদ সাইফুল আলম। তিনি বলেন, ঢাকায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে হত্যা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মশাল মিছিল বের করি আমরা। শুনেছি আমরা মিছিল শেষ করে চলে আসার পর কে বা কারা গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন দিয়েছে। এর সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জড়িত নন। ছাত্রদলের নেতাকর্মীকে ঘায়েল করতে আওয়ামী লীগের কর্মীরা এ ঘটনা ঘটাতে পারেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি