ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

  নিজস্ব প্রতি‌বেদক

প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:৫৩  
আপডেট :
 ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৪৭

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তারকৃতরা। ছবি: প্রতিনিধি

ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারী ছিনতাই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (মতিঝিল) বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হ‌লেন- পিযুষ সুর (২৭), মো.হারুন (৩৮), জোবায়ের হোসেন পারভেজ, মো. আরিফ হোসেন (২৯) এবং খোকন চন্দ্র দেবনাথ (৪২)।

রোববার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির এলাকা থে‌কে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থে‌কে ২টি কালো রংয়ের নোয়াহ্ মাইক্রোবাস, ১টি সাদা রংয়ের প্রভোক্স প্রাইভেট কার, ২টি পুলিশের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট এবং ১টি হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করা হয়ে‌ছে।

সোমবার ডিএম‌পির মি‌ডিয়া সেন্টা‌রে আ‌য়ো‌জিত সংবাদ স‌ম্মেল‌নে ডিএম‌পির অ‌তি‌রিক্ত ক‌মিশনার (গো‌য়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ব‌লেন, গত ১৩ ডি‌সেম্বর রাতে মতিঝিল থানাধীন সিটি সেন্টার পার হয়ে অলিম্পিয়া বেকারীর সামনে ভিকটিম রিকশা ক‌রে যাওয়ার সময় একটি কালো রঙের নোয়াহ্ গাড়ি রিকশার গতিরোধ করে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে অবৈধ মালামাল আছে বলে মামলার বাদী ভুক্ত‌ভোগীকে গাড়িতে উঠতে বলে।

ভিকটিম গাড়িতে উঠতে না চাইলে চর থাপ্পড় মেরে ধাক্কা দিয়ে গাড়িতে ওঠায়। প‌রে ভিকটিমের দুই হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে তার কাছে থাকা নগদ ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের বিদেশি মুদ্রা এবং ১টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারীরা ভিকটিমকে গাড়িতে করে রাজধানীর শাপলা চত্বর, ধোলাইপাড় টোলপ্লাজা, ধলেশ্বরী টোলপ্লাজা কুচিয়ামারা ব্রিজ হয়ে ঢাকা মাওয়া সড়কে পিডিএল ক্যাম্পের সামনে নামিয়ে মাওয়ার দিকে চলে যায়।

ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে গোয়েন্দা মত‌ঝিল বিভাগ। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সিটি সেন্টারের সামনে দিয়ে রিকশায় শাপলা চত্ত্বরের দিকে যাচ্ছিল, সে সময় কালো নোয়া গাড়ি রিকশার পেছনে পেছনে যাচ্ছিল। এরপর সিটি সেন্টার পার হয়ে অলিম্পিয়া বেকারীর সামনে থেকে ঐ কালো নোয়া গাড়িতে করে ভিকটিমকে নিয়ে যায়। পরে শাপলা চত্বর, ধোলাইপাড় টোলপ্লাজা এবং ধলেশ্বরী টোলপ্লাজার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখা যায়, ঐ কালো নোয়া গাড়িটি ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় টোল দিয়ে অতিক্রম করে।

গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রযুক্তিগত সহায়তায় কালো রঙের নোয়াহ্ গাড়িটি পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়। গাড়ির মালিক ও ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রযুক্তির ব্যবহার এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অ‌ভিযুক্ত‌দের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত‌দের কাছ থে‌কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া ত‌থ্যের বরাত দি‌য়ে হারুন অর রশীদ জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাইভেট কার নিয়ে ঢাকা মহানগর এলাকার বিভিন্ন ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আশে পাশে ঘোরাফেরা করে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে আসা, টাকা উত্তোলন করে বের হওয়া এবং মানি এক্সচেঞ্জের ব্যক্তিদের টার্গেট করে।

ব্যক্তি শনাক্তের পর তার পেছনে পেছনে গাড়ি নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ‌জোর ক‌রে গাড়িতে তুলে নেয়। গাড়িতে তুলে ভিকটিমের নিকটে থাকা নগদ অর্থ ও মূল্যবান মালামাল কেড়ে নিয়ে সুবিধাজন নির্জন স্থানে ফেলে যায়।

হারুন অর রশীদ ব‌লেন, ছিনতাই চক্রের সদস্যরা ২টি গ্রু‌পে ভাগ হয়ে পৃথক ২টি গাড়িতে করে এমন কার্যক্রম করে। তাদের গ্রুপের প্রধান পলাতক শহীদুল ইসলাম মাঝি। শহীদুলের বিরুদ্ধে সারাদেশে সর্বমোট ১৬টি মামলা রয়েছে। ইতোপূর্বে শহীদুল‌কে ডিবি পুলিশ একাধিকবার গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে‌ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত