ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

পলিথিন ও প্লাস্টিকে সয়লাব কুয়াকাটা সৈকত, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

  গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী

প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:১৪  
আপডেট :
 ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:১৭

পলিথিন ও প্লাস্টিকে সয়লাব কুয়াকাটা সৈকত, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য
পলিথিন ও প্লাস্টিকে ছয়লাব কুয়াকাটা সৈকত, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য। ছবি: প্রতিনিধি

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এখন পলিথিন আর প্লাস্টিকে সয়লাব। যত্রতত্র এই প্লাস্টিকে শুধু সমুদ্র সৈকতের পরিবেশই নষ্ট হচ্ছে না সাথে সমুদ্র এলাকার জীববৈচিত্র্যও পড়ছে হুমকির মুখে।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক নিলয় তালুকদার যত্রতত্র প্লাস্টিক বর্জ্য দেখে আক্ষেপ করে বলেন, কুয়াকাটা এত সুন্দর একটি জায়গা। সবকিছুই বেশ সুন্দর, তবে কুয়াকাটা সৈকতে অনেক প্লাস্টিক বর্জ্য যেগুলো আমাদেরকে খুব বিরক্ত করে। অবশ্যই এগুলো পরিস্কার না রাখলে কুয়াকাটায় আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারছি না।

ঢাকা থেকে আসা নীলাঞ্জনা রায় নামের অপর এক পর্যটক বলেন, আমরা শহর থেকে এখানে একটু সুন্দর পরিবেশ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা সৈকতের খোঁজে এখানে আসি। কিন্তু এসে দেখি বিপরিত চিত্র। এত সুন্দর একটি জায়গায় এই সমস্যাগুলোর জন্য সকলকে আরো সচেতন হওয়া দরকার।

কুয়াকাটা সৈকতে স্ট্রিড ফুডের বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান রয়েছে। তাদের ব্যবহৃত পলিথিন, খালি বোতলের খোসা, ডাবের খোসা নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে যত্রতত্র ছুড়ে ফেলা এবং স্থানীয় সহ পর্যটকদের অবহেলায় এই বেহাল দশা সৈকতের এমনটাই মনে করেন ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার।

তিনি আরো বলেন, সৈকতকে পরিস্কার রাখার জন্য আমরা সৈকতে থাকা প্রায় ১০-১২ টি পেশার ব্যবসায়ীদেরকে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের মাধ্যমে ট্রেনিং করিয়েছি এবং গতকালকে প্রায় দুইশত ময়লা রাখার ডাস্টবিন বিভিন্ন পয়েন্টে দিয়েছি টোয়াকের উদ্যোগে। কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি যদি আরও একটু খেয়াল করে সৈকতের দিকে তাহলে সৈকত পরিস্কার রাখা সম্ভব।

টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক বলেন, সৈকতে যেন ময়লা না ফেলা হয় সে জন্য আমরা বার-বার মাইকিং করে সতর্ক করি। এছাড়া সপ্তাহে একবার আমাদের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান করা হয়। তবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যদি সবসময় করে সৈকত পরিস্কারের জন্য তাদের ক্লিনার নিয়োজিত রাখে তাহলে এটার সমাধান হবে।

কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, কুয়াকাটা সৈকতকে পরিস্কার রাখার জন্য পৌরসভা ও আমি সার্বিকভাবে কাজ করছি। আমাদের কয়েকটি টিম সকাল, বিকেল ময়লা পরিস্কার করে। কিন্তু কিছু অসচেতন পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের কারনে এই সমস্যাটা মাঝে মাঝে হয়।

কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া ইউএনও শঙ্কর চন্দ্র বৌদ্ধ বলেন, কুয়াকাটা সৈকতে যত্রতত্র ময়লাগুলোকে পরিস্কার এবং সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। আমরা শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত