আন্তঃজেলা দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার রাজ্জাকসহ গ্রেপ্তার ৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:৫৫ আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:৩৮
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে আন্তঃজেলা দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার ইছা খাঁ (৩৪) ওরফে রাজ্জাকসহ তিনজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০। গ্রেপ্তার অন্য দুইজন হলেন- সৈয়দ জসিম উদ্দিন (৫০) ও নুর ইসলাম (২৮)।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে যাত্রাবাড়ী থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন রায়েরবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০ এর একটি দল। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ১টি একনলা বন্দুক, ৩ রাউন্ড এ্যামুনেশন (গুলি), ১টি সুইচ গিয়ার চাকু, ২টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র, ৫টি মোবাইল ফোন ও ২ হাজার ১৮০টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার র্যাব-১০ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। চক্রের মূল নেতৃত্বে রয়েছেন রাজ্জাক। তারা গত এক মাসে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, চাঁদপুর, পাটুয়াখালী ও কুড়িগ্রামে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্বর্ণালংকার, টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ ডাকাতি করেছেন।
এছাড়া চক্রটি বড় বড় ব্যবসায়ীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করতো এবং ডাকাতির কাজে কেউ বাধা দিলে বা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদানসহ অস্ত্র দিয়ে হত্যা ও গুরুতর জখম করত।
তারা প্রতি মাসে ২/৩টি ডাকাতি করত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তারা ডাকাতির পূর্বে স্থান নির্ধারণ করে তারপর অস্ত্রশস্ত্র ও ডাকাতির প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নিয়ে তাদের নির্ধারিত স্থানে ডাকাতি করতো।
র্যাব জানায়, গ্রেপাতার ডাকাত সর্দার রাজ্জাক কিশোরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। অন্য পেশার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তার নির্দেশে ডাকাত দলের সকল সদস্য একটি নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ করত।
তার নেতৃত্বে ডাকাত চক্রটি দেশের বিভিন্ন এলাকার বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীদের বাড়িতে এবং বিভিন্ন মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি করে আসছিল।
এছাড়াও রাজ্জাকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলাসহ মোট ৪টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
গ্রেপ্তার জসিম বরগুনা জেলার বাসিন্দা। অন্য পেশার আড়ালে ডাকাত চক্রটির তথ্য সংগ্রহকারী ও দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলাসহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও সে ২০১৩ সালের মগবাজারের চাঞ্চল্যকর বিদেশীর বাড়ীতে ডাকাতির সময় কেয়ারটেকার হত্যা মামলার হত্যাকারী বলে জানা যায়।
গ্রেপ্তার নুর ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার বাসিন্দা। অন্য পেশার আড়ালে রাজ্জাকের সাথে ডাকাতি চক্রের অন্যতম সদস্য হিসেবে কাজ করে আসছিল। নুর ইসলামের আশ্রয়স্থলে ডাকাতির সমস্ত পরিকল্পনা করা হতো এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সকল অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি তার দায়িত্বে তাদের গোপন আস্তানায় রাখা হতো বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/আরআই