দুদিনের কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ২২:২৭
লাইসেন্সিং বিধিমালার কিছু বিধিবিধান সংশোধন, এইচএস কোড এবং সিপিসি ভুলের কারণে জরিমানা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ বাতিলের দাবিতে আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার সদস্যদের চিঠি দিয়ে কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম (বিলু)।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী মাহমুদ ইমাম (বিলু) বলেন, কাস্টমস এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের মৌলিক অধিকার পরিপন্থী কিছু বিধিবিধান সংশোধন, পণ্য চালান শুল্কায়নকালে পণ্যের এইচএস কোড ও সিপিসি নির্ধারণে প্রণীত বিভিন্ন বিতর্কিত আদেশ বাতিলের দাবিতে সারা দেশের কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনে একযোগে এ কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। এসব দাবিতে দীর্ঘদিন আমরা আন্দোলন করে আসছি। দাবি পূরণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আশানুরূপ পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হওয়ায় শনিবার (২১ জানুয়ারি) ফেডারেশনের জরুরি সভায় দুই দিন পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি এনবিআরকে চিঠি দেয় সংগঠনটি। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, এনবিআর গত বছরের জুলাই মাসে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং আ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করে। এসময় অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দাবির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। এর পরিপ্রক্ষিতে এনবিআর কর্মকর্তারা বিধিমালা সংশোধনের বিষয়ে সংগঠনের নেতাদের আশ্বস্ত করেন। অথচ এ বিষয়ে ফেডারেশনের নেতারা এনবিআরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মঙ্গে আলোচনা করেও কার্যকর কান সাড়া পাওয়া যায়নি। তাতে সারা বাংলাদেশের সিন্ডএফ এজেন্টদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে বিধি-বিধান সংশাধনের দাবি জানায় সংগঠনটি। অন্যথায় আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনে কর্মবিরতি পালন করা হবে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে
