তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাস করা প্রয়োজন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ২৩:১৪
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেছেন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাস করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমি কথা দিচ্ছি সংশোধিত খসড়া আইনটি মন্ত্রীপরিষদে উত্থাপিত হলে এটির সপক্ষে অগ্রণী ভূমিকা রাখব। সংশোধিত খসড়ায় আইনটি তামাক ব্যবহার কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রী জনস্বাস্থ্য রক্ষায় যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা সফল করতে এই আইনটি দ্রুত পাস করা প্রয়োজন। মন্ত্রীপরিষদে সংশোধিত আইনটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। আমি আশা করি এটির পক্ষে সবাই মত দেবেন।
বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের আগেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে নীতিনির্ধারকদের কাছে প্রত্যাশা' শীর্ষক জাতীয় সেমিনারটি আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়র (ডর্প)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, তামাকজাত দ্রব্য সেবনের ঝুঁকি সম্পর্কে সবাই অবগত থাকলেও এটির বিরুদ্ধে প্রচার কম। আমরা জানি সিগারেট ও অন্যান্য তামাকপণ্য সেবনে বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে প্রচার বাড়াতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের ব্যপক ব্যবহার একটি মানবসৃষ্ট মহামারি। খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে যেসব ইতিবাচক সংশোধন আনা হয়েছে সেগুলো তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারকে অচিরেই বাস্তব রূপ দেবে।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম বলেন, পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি সম্পর্কে এখনও সাধারণ মানুষ অসচেতন। তাই এতির বিরুদ্ধে প্রচার বাড়াতে হবে। তামাক চাষ বন্ধ না করা হলে তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার রোধ করা কষ্টসাধ্য হবে।
জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল সমন্বয়কারী হোসেন আলী খোন্দকার বলেন, সরকারের উচ্চপর্যায়ের উচিত সংশোধিত খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস ও কার্যকর করতে এখনই উদ্যোগ নেয়া। তামাকের কুপ্রভাব এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সরকার সচেতন হলে অনেক প্রাণ রক্ষা পাবে। আইনটির কঠোর প্রয়োগ অল্পবয়সে তামাকজাত পণ্য সেবন নিরুতসাহিত করবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডর্প এর নির্বাহী উপদেষ্টা আজহার আলী তালুকদার। সঞ্চালনা করেন ডর্প এর উপ-নির্বাহী পরিচালক মো. যোবায়ের হাসান।
বাংলাদেশ জার্নাল/জিকে
