শেখ হাসিনা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:৪৩ আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:৫৪

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বাংলাদেশে আইনের শাসন ধ্বংস করার জন্য দেশে ও দেশের বাইরে সম্মিলিত যে চেষ্টা হয়েছিল, তার বিপরীতে প্রত্যয়দীপ্ত সাহসী ভূমিকা রেখে বঙ্গবন্ধুকন্যা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজ সংবিধানের বিধি-বিধানের আলোকে বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
|আরো খবর
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কাজী মোতাহার হোসেন ভবন প্রাঙ্গণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘মুক্তির মন্ত্রে বঙ্গবন্ধু: সংবিধান এবং আইনের শাসন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশে খুনের রাজত্ব কায়েম, খুনিদের পুনর্বাসন, গণতন্ত্র ধ্বংস করা, আইনের শাসন ধ্বংস করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিতর্কিত করা এসব কাজ বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এবং পরবর্তীকালে খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া ধারাবাহিকভাবে করেছে।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান। সংবিধান ও আইনের শাসন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আইনের শাসনের পূর্বশর্ত হচ্ছে, আইন অনুযায়ী সবকিছু হবে। সেই আইন, যে আইন সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। আইনের শাসনের কথা বলতে গেলে সাংবিধানিক বিধি-বিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই।
শ ম রেজাউল আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি দর্শন, একটি বিশ্বাস, একটি প্রেরণা। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের যে কোনো অঞ্চলে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষরা যখনই পথ হারিয়ে নতুন কোনো দিগন্তের কথা ভাববে, তখন বঙ্গবন্ধু নামক বিশ্বাস ও দর্শনের কাছে ফিরে আসতে হবে। যখনই কোনো জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে, অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে মুক্তি চাইবে অথবা স্বাধিকার আদায়ে কোনো বাধার সম্মুখীন হবে, তখনই স্মরণ করতে হবে বঙ্গবন্ধুর জীবনালেখ্য। বঙ্গবন্ধু সে কারণেই আজ ও আগামীতে অনিবার্য।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ শাখার সভাপতি আফরেদী হাসান সেজার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল ও বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ শাহনেওয়াজ টিপু।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস