মোবাইলে কথা বলতে বলতে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলো গৃহবধূ
যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:৩৪ আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:৪৭

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় এক গৃহবধূ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এমন খবর পাওয়া গেছে। বাবার সাথে মোবাইলে কথা বলতে বলতে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার রাজঘাট রেলক্রসিংয়ের পাশে খুলনাগামী বেতনা ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
|আরো খবর
ওই গৃহবধূর নাম সুমাইয়া বেগম (২২)। তিনি উপজেলার বাঘুটিয়া গ্রামের আলী হোসেন চুন্নির ছেলে রকি শেখের স্ত্রী এবং খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙা গ্রামের মহিরুল ইসলামের মেয়ে।
সুমাইয়ার বাবা মহিরুল ইসলাম বাবলু জানান, তিন বছর আগে রকির সাথে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর বিভিন্ন সময়ে আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। আমি তাদের এক লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়েছি। তারপরও তারা আমার মেয়েকে নির্যাতন করতো। গত বছর গলায় ছুরি দিয়ে আমার মেয়েকে রকি মেরে ফেলতে গিয়েছিলো। আমি সংবাদ পেয়ে মেয়েকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি এবং মামলা করি। পরে সুমাইয়ার শ্বশুরবাড়ির এলাকার লোকজন আমার বাড়ি এসে আলোচনা করে মামলা মীমাংসা করে মেয়েকে আবার নিয়ে যায়। এরপর থেকে ওর স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন অব্যাহতভাবে নির্যাতন চালিয়ে যেতে থাকে। নির্যাতন সইতে না পেরে সে ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মহত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, সুমাইয়া আত্মহত্যার আগে আমার সাথে মোবাইলে কথা বলছিল। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের কথা বলছিল। তখন প্রায় দুপুর ১২টা বাজে। আমি তাকে মোবাইলে বারবার শান্ত হওয়ার অনুরোধ করছিলাম। সে আমাকে বলেছিলো বাবা তোমার নাতিকে দেখে রেখো। তখন মোবাইলে আমি ট্রেন আসার শব্দ শুনছিলাম। হঠাৎ একটি শব্দ শুনলাম। এরপর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একটুপর জানতে পারি সে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে।
জানতে চাইলে যশোর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন,‘শুনেছি একজন গৃহবধূ রাজঘাট এলাকায় খুলনাগামী বেতনা ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি