ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

আত্মহত্যাই করেছেন চবি ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১:০১  
আপডেট :
 ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১:১০

আত্মহত্যাই করেছেন চবি ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ
দিয়াজ ইরফান চৌধুরী। ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মৃত্যুতে তাকে হত্যার কোনো প্রমাণ পায়নি সিআইডি। তিনি আত্মহত্যাই করেছেন জানিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্তকারি সংস্থা সিআইডি। এর আগেও পুলিশ জানিয়েছিল দিয়াজ আত্মহত্যা করেছেন। এবার দ্বিতীয় দফার তদন্তেও সিআইডি বলছে ছাত্রলীগের সাবেক এ নেতা আত্মহত্যাই করেছিলেন।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় এই প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুস সালাম মিয়া। তিনি বলেন, তদন্তে যা পাওয়া গেছে তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আজকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হয়েছে।

এর আগে ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে দুই নম্বর এলাকায় নিজ বাসা থেকে দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দিয়াজ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদকও ছিলেন তিনি।

এ ঘটনায় দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর ১০ জনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা করেন। এতে অভিযুক্ত করা হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, চবি ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আলমগীর টিপু, ছাত্রলীগ নেতা আবুল মনসুর জামশেদ, তাদের অনুসারী রাশেদুল আলম জিশান, আবু তোরাব পরশ, মনসুর আলম, আবদুল মালেক, মিজানুর রহমান, আরিফুল হক অপু ও মোহাম্মদ আরমানকে। সিআইডির দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে আসামিদের অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে।

যদিও দিয়াজের বড় বোন অ্যাডভোকেট জোবাইদা সরোয়ার নিপা জানিয়েছেন, সিআইডির প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন দেওয়া হবে।

দিয়াজের মৃত্যুর তিন দিন পর ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের দেওয়া প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ উল্লেখ করা হয়। তার ভিত্তিতে হাটহাজারী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করে পুলিশ।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নির্মাণ কাজের দরপত্র নিয়ে কোন্দলের সূত্র ধরে এ ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যা বলে শুরু থেকেই দিয়াজের পরিবার ও তার অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মীরা দাবি করে আসছিল। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে ওই বছরের ২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলা করেন। তখন দিয়াজের মায়ের আপত্তিতে আদালত সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত