ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ

  চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৩, ২১:০৭

ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ
আহত ম্যানেজারকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ছবি: প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ঠিকাদারের ম্যানেজারকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বাঁধ নির্মাণ কাজের শ্রমিকদের মজুরির ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা নয়ন নামের একব্যক্তি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বেলা ৪টায় দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের নবাবজায়গীর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হন ম্যানেজর আব্দুল মমিন শাহিন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ম্যানেজার আব্দুল মমিন শাহিন (৪০) শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের চর ঘোড়াপাখিয়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।

আহত শাহিন বলেন, গত ৩ মার্চ থেকে সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের নবাবজায়গীর এলাকায় ৮ নম্বর বাঁধ এলাকায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হয়। এরপর থেকেই বড় মরাপাগলা গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে নয়ন আলী (৩০) ঠিকাদারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নিয়ে দেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত আমাকে চাপ দিয়ে আসছিল। বাঁধের শ্রমিকদের মজুরি দেয়ার জন্য ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিল। এমন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে নয়ন ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে এসে বাঁধ এলাকায় একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। আতঙ্ক তৈরি করে আমাকে লোহার রড দিয়ে মাথা ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে সন্ত্রাসীরা ব্যাগে থাকা ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর স্থানীয়রা আব্দুল মমিন শাহিনকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন আহত আব্দুল মমিন শাহিন ও পরিবারের সদস্যরা।

ঠিকাদার জামাল উদ্দীন নাসির জানান, সাইডে থাকা ম্যানেজার শাহিনের কাছে গেল ১০ দিন ধরে নয়ন ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজও নয়নসহ বেশকিছু সন্ত্রাসীরা সাইডে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে ম্যানেজারকে লোহার রড দিয়ে বেধরক পিটিয়ে তার কাছে থাকা ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।

এদিকে অভিযুক্ত নয়ন জানান, এটা রাজনৈতিকভাবে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত