ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩, ১১:০৭  
আপডেট :
 ০৯ মার্চ ২০২৩, ১৬:৩৪

দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা । ছীব: সংগৃহীত

বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় প্রথম অবস্থানে রাজধানী ঢাকা। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টায় বায়ু মানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ১৯৪। এই মাত্রাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। জানুয়ারি মাসে মোট ৯ দিন রাজধানীর বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ ধারা এখনো অব্যাহত।

এদিকে ১৮৪ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণের দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারতের কলকাতা। তৃতীয় স্থানে আছে পাকিস্তানের করাচি, স্কোর ১৮১। একই স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই। আর ১৭৮ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে মিয়ানমারের ইয়াংগুন।

এর আগে ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে ঢাকার বায়ু ছিল ‘অস্বাস্থ্যকর’ বা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায়। প্রায় প্রতিদিনই দূষিত বায়ুর তালিকায় শীর্ষে ছিল ঢাকা।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ সহনীয় হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘বিপজ্জনক’ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালীর সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত