ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

নায়িকা মাহীসহ দুই মামলায় গ্রেপ্তার ১০

  গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৩, ১৬:২০

নায়িকা মাহীসহ দুই মামলায় গ্রেপ্তার ১০
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম। ছবি: প্রতিনিধি

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহী ও তার স্বামী রাকিব সরকার জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও দখলকে কেন্দ্র করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিরুদ্ধে ফেইসবুক লাইভে মিথ্যা ও আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তিনি প্রতিপক্ষের ব্যাপারেও মন্তব্য করেছেন। পুলিশকে নিয়ে এ ব্যাপারে তারা এভাবে ঢালাও মন্তব্য করার অধিকার রাখেন না। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে।

এছাড়া তাদের সঙ্গে প্রতিপক্ষ মো. ইসমাইল হোসেন গংদের জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ভোরে ভাংচুর, চাঁদা দাবি ও মারধরের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি সংক্রান্ত আরও একটি মামলা করেছেন মো. ইসমাইল হোসেন।

মাহিয়া মাহীকে শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার দুপুর পৌনে ১টায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ডিজিটাল আইনে মাহি গ্রেপ্তার ছাড়াও এর আগে শুক্রবার রাতে ইসমাইল হোসেনের দেয়া মামলায় সাজ্জাদ হোসেন সোহাগ (৩৮), আশিকুর রহমান (৩২), ফাহিম হোসেন হৃদয় (২২), জুয়েল রহমান (২৫), জমশের আলী (৪৪), মোস্তাক আহমেদ (২২), খালিদ সাইফুল্লাহ জুলহাস (৩০), সুজন মন্ডল (৩৪) ও মাহবুব হাসান সাব্বিরকে (১৮) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কমিশনার বলেন, মাহিয়া মাহীর স্বামী রাকিব সরকারের বিরুদ্ধে এর আগেও অস্ত্র, হত্যা ও ধর্ষণের তিনটি মামলা রয়েছে। ওই মামলাগুলোতে কেউ সাক্ষী দেয়নি, কিন্তু ঘটনা সত্য ছিল। তবে এখন মামলাগুলো পুনরায় তদন্ত ও সাক্ষী প্রমাণ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া রাকিব সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়িত আমাদের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ আসছে। তার আরেক ভাই পরিবহন নেতা। এ নেতার কাছে পুলিশ মোটা অংকের টাকা দাবি করেছিল বলে মাহিয়া মাহির ভিডিও লাইভের বক্তব্যও ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা।

শুক্রবার ভোরে গাজীপুরে ভাওয়াল কলেজের পাশে থাকা মাহির স্বামী রাকিব সরকারের গাড়ি বিক্রয় কেন্দ্র ‘সনিরাজ’ দখল করতে পুলিশ মোটা অংকের টাকা নিয়ে অপর পক্ষকে সহায়তা করার কথাও মাহিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল করেছেন। যার কোন প্রমাণ বা ভিত্তি নেই। তৃতীয় পক্ষ হয়ে তিনি কিভাবে পুলিশ টাকা গ্রহণ করেছেন তার প্রমাণ চেয়েছেন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম। প্রমাণ ছাড়া ওই দম্পতি কেন পুলিশ পরিবারকে নিয়ে আপত্তিকর মন্ত্যব্য করেছেন? এজন্য বাসন থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ রুকন মিয়া স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে পুলিশ কমিশনার বলেছেন, টাকা লেনদেনের প্রমাণ দিতে পারলে দায়ী পুলিশের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত