ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

সার্টিফিকেট আনা হলো না মিমির

  গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৩, ১৮:৫৪

সার্টিফিকেট আনা হলো না মিমির
দুর্ঘটনায় নিহত আফসানা মিমি। সংগৃহীত ছবি

পড়াশোনা শেষ। তাই ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট আনতে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএইউ) কৃষি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আফসানা মিমির (২৫) ইচ্ছা ছিল বিসিএস ক্যাডার হয়ে পরিবারের হাল ধরবেন। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা কেড়ে নিল মিমির প্রাণ। এদিকে মা ফিরে আসবে বলে পথ চেয়ে বসে আছে নিহত মিমির এক বছর বয়সী একমাত্র মেয়ে।

রোববার ভোরে গোপালগঞ্জের পুলিশ লাইন থেকে বাকি আরও অনেকের সঙ্গে ঢাকায় যাওয়ার জন্য ইমাদ পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন আফসানা মিমি। পথিমধ্যে মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় বাসটি পৌঁছালে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৫০ ফুট নিচে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হন মিমি। তিনি গোপালগঞ্জ শহরের ব্যাংকপাড়া এলাকার হিরাবাড়ি রোডের মৃত আবু হেনা মোস্তফা নীল সর্দারের মেয়ে।

জানা গেছে, মিমির বাবা একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। ছোট থাকতেই বাবাকে হারান মিমি। দুই বোনের মধ্যে তিনি বড়। ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন মিমি। তিন বছর আগে বিয়ে হয় তার। এক বছর বয়সী একটা মেয়ে রয়েছে তার। মায়ের কাছে মেয়েকে রেখে যাচ্ছিলেন সার্টিফিকেট আনতে।

নিহত মিমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বশেমুরবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন। কৃষি বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করে ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। মিমির এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না তার পরিবারের কেউ।

নিহতের চাচাতো ভাই অ্যাডভোকেট এস আর রহমান জানান, মিমি পরিবারের বড় মেয়ে। তার ইচ্ছা ছিল বিসিএস পরীক্ষা দেবে তাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট আনতে সকালে গোপালগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্য রওনা হয়। ময়মনসিংহের যাওয়ার জন্য গোপালগঞ্জ থেকে সরাসরি কোনো গাড়ি না থাকায় ঢাকার একটি বাসে ওঠে। পথিমধ্যে মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় বাসটি পৌঁছালে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৫০ ফুট নিচে পড়ে যায় বাসটি। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হয় মিমি।

তিনি বলেন, মিমির মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে মরদেহ নিয়ে আমরা বাড়ি ফিরব। মেয়েটি সার্টিফিকেট আনতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল।

ওই দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ১৭ জনের মরদেহ শনাক্ত হয়েছে। পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ১৪ জনের মরদেহ।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত