ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

গ্রাহকের টাকা মেরে উধাও ঊষা ফাউন্ডেশন

  ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩, ১৫:৫৬

গ্রাহকের টাকা মেরে উধাও ঊষা ফাউন্ডেশন
ছবি: প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ঋণ দেয়ার কথা বলে ‘ঊষা ফাউন্ডেশন’ নামে একটি ভুয়া এনজিও সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। ঋণ না দিয়ে ওই এনজিওর কর্মকর্তারা এলাকা ছেড়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন।

জানা গেছে, ঊষা ফাউন্ডেশন সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেখানো হলেও তারা প্রতারণামূলকভাবে বিভিন্ন প্রচার ও কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। পৌর শহরের জুয়েলারি ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলামের মালিকানাধীন বাসা থেকে কয়েক দিন ধরে প্রাতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলছিল।এরপর কয়েক জন কর্মকর্তা সেজে বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অত্যন্ত মার্জিত ভাষায় নিজেদের ফাউন্ডেশনের পরিচয়ে ভিজিটিং কার্ড দেন। প্রতারক চক্রটি নানা কৌশলে গ্রাহকদের সাথে সখ্যতা তৈরী করে। এরপর ২ বছর মেয়াদী ঋণ প্রজেক্ট আছে বলে প্রত্যেককে জানায়। কিন্তু শর্ত মোতাবেক প্রতি লক্ষ ঋণের জন্য ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় জমা দেয়ার নিয়ম রয়েছে এবং পরবর্তীতে এটা ফেরতযোগ্য বলে জানান। এতে রাজি হয়ে ঋণ নিতে আগ্রহীরা সঞ্চয় জমা দিতে থাকে। এরপর সোমবার (২০ মার্চ) রাতের আঁধারে তারা উধাও হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় দেখানো হয়েছে ঢাকা উত্তরার রানাভোলায়।

উপজেলার,পারফলসী, তোলা, কুলবাড়িয়া, মান্দারতলাসহ একাধিক গ্রামের প্রায় দুইশতাধিক মানুষের কাছ থেকে এই প্রতারক চক্র প্রায় বিশ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগীরা জানায়,শহরের জুয়েলারি ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলামের বাসায় এই এনজিওর অফিস জানার পরে তার বাসায় গিয়ে খোজ নিয়ে তরিকুলের কথায় ভরসা করে এই এনজিওতে সঞ্চয়ের টাকা দিয়েছি।

পারফলসী গ্রামের আব্দুল ওহাব জানান, আমার ছেলেকে প্রবাসে পাঠানোর জন্য আমি এই এনজিও থেকে ২লক্ষ টাকা ঋণ নিতে চেয়েছিলাম। ঊষা ফাউন্ডেশনের কর্মির কথার ফাদে পড়ে আমি ১০হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু গতরাতে তারা পালিয়েছে শুনে আমি অফিসে গিয়ে অফিস তালাবন্ধ অবস্থায় দেখি। একই গ্রামের একাধিক ব্যক্তি এই প্রতারণার স্বীকার হয়েছে বলে জানা যায়।

চুলাকানি বাজারের ফল ব্যবসায়ী, জাফিরুল ইসলাম সহজ কিস্তিতে ২লক্ষ টাকা ব্যবসায়িক লোন পাবেন এই আশায় জুয়েলারি ব্যবসায়ী তরিকুলের কথায় ১০হাজার টাকা দিয়েছেন এই ফাউন্ডেশনের কর্মীদের কাছে।

তবে এ বিষয়ে জানতে, ঊষা ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার পরিচয় দেয়া জুয়েল হোসেনের ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বাসা মালিক তরিকুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শিউলি রানী জানান, ঊষা ফাউন্ডেশন নামের কোন এনজিও প্রতিষ্ঠান হরিণাকুণ্ডুতে আমাদের রেজিষ্ট্রেশনের তালিকায় নাই। ফলে এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবোনা। সমাজসেবার নিবন্ধনকৃত সংস্থা এধরনের ঋণ কার্যকলাপের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা জানান, আমার কাছে এখনও কেউ কোনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত