দিয়াজের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে পিবিআই
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৩, ২০:০৬ আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৩, ২০:১৬

চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ হত্যা মামলা অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন আদালত।
|আরো খবর
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আওলাদ হোসেন মুহাম্মদ জুনাইদের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার বাদী দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী অধিকতর তদন্ত চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও আগের তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত করেননি। তাই বিষয়টির পেছনের সত্যতা বের করতে আরও তদন্ত প্রয়োজন।
চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, দিয়াজ হত্যা মামলা অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম জেলাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে দিয়ে মামলা তদন্ত করার কথা বলা হয়েছে।
২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দক্ষিণ ক্যাম্পাসে নিজের বাসা থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত মরদেহ।
দিয়াজের মৃত্যুর তিন দিন পর ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের দেয়া প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ উল্লেখ করা হয়। তার ভিত্তিতে হাটহাজারী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করে পুলিশ।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নির্মাণ কাজের দরপত্র নিয়ে কোন্দলের সূত্র ধরে এ ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যা বলে শুরু থেকেই দিয়াজের পরিবার ও তার অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মীরা দাবি করে আসছিল। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে ওই বছরের ২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলা করেন। তখন দিয়াজের মায়ের আপত্তিতে আদালত সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়।
মামলায় আসামি করা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তৎকালীন সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, চবি ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আলমগীর টিপু, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল মনসুর জামশেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনসুর আলম, সহ সভাপতি আবদুল মালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু তোরাব পরশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আরমান, প্রচার সম্পাদক সম্পাদক রাশেদুল আলম জিসান ও অপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান ও আরিফুল হক অপুকে আসামি করা হয়। যদিও সিআইডির দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে আসামিদের অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি