ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইউক্রেন যুদ্ধে জাহাজ বিধ্বস্ত

১ কোটি ৪৩ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ পেল বাংলার সমৃদ্ধি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:৪২

১ কোটি ৪৩ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ পেল বাংলার সমৃদ্ধি
বাংলার সমৃদ্ধি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিধ্বস্ত বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র জন্য ক্ষতিপূরণ দিয়েছে বিদেশি বীমা কোম্পানি টাইজারস। সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন এ জাহাজটির ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া গেছে ১ কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। সরকারি বীমা কোম্পানি সাধারণ বীমা করপোরেশনের কাছ থেকে ২১ মার্চ নিজেদের ব্যাংক হিসাবে এই টাকা বুঝে পেয়ছে বিএসসি।

ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির বিষয়টি শনিবার নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের ২ মার্চ ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয় বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। হামলার পর ক্ষতিপূরণ পেতে বীমা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিএসসি। ক্ষতিপূরণ বাবদ বিদেশি বীমা কোম্পানি টাইজারসের কাছে দাবি করা হয় ২ কোটি ২৪ লাখ মার্কিন ডলার।

মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দাবিকৃত পুরো টাকা টাইজারস বুঝিয়ে দেয় সরকারি বীমা কোম্পানি সাধারণ বীমা করপোরেশনের কাছে। ক্ষতিপূরণ থেকে বীমা প্রিমিয়ামের টাকা দিয়ে ১ কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার বিএসসির ব্যাংক হিসাবে বুঝিয়ে দিয়েছে সাধারণ বীমা করপোরেশন। আদায় হওয়া ক্ষতিপূরণ বিধ্বস্ত জাহাজের বর্তমান বাজার মূল্যের সমপরিমান।

জাহাজটির ক্ষতিপূরণের বাইরে ওই জাহাজে থাকা নাবিকেরাও বীমা বাবদ প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকার বেশি পেয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মো. জিয়াউল হক বলেন, আমাদের ক্ষতিপূরণের টাকা জমা হয়েছে ২১ মার্চ। সাধারণ বীমা করপোরেশন টাইজারসের কাছ থেকে কবে পেয়েছে তা আমাদের জানা নেই।

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, বিএসসির মালিকানাধীন ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজটি ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছায়। ওই দিন ভোরেই রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করে। বন্দরের প্রবেশমুখে ছিল মাইন। এতে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় জাহাজটি বের করে আনা সম্ভব হয়নি। ৩ মার্চ স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে জাহাজটিতে আঘাত হানে একটি ক্ষেপণাস্ত্র। এতে জাহাজের তৃতীয় প্রকৌশলী মো. হাদিসুর রহমান মারা যান। স্থানীয় বাংলাদেশিদের সহায়তায় সেদিন ২৮ জনকে উদ্ধার করা হয়। জাহাজের ব্রিজরুমসহ সব নেভিগেশন টুলস্ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

উদ্ধার করা নাবিকদের ৯ মার্চ দেশে পাঠানো হয়। ১৪ মার্চ প্রকৌশলী হাদিসুর রহমানের মরদেহ পাঠানো হয়। এতে সহায়তা করে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস।

বাংলাদেশ জার্নাল/জিকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত