ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

রাজবাড়ীতে পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচ বাড়ায় লোকসানে চাষিরা

  রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৫০

রাজবাড়ীতে পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচ বাড়ায় লোকসানে চাষিরা
রাজবাড়ীতে পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচ বাড়ায় লোকসানে চাষিরা । ছবি: প্রতিনিধি

চলতি বছর রাজবাড়ীতে হালি পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচ বেশি এবং আশানুরুপ ফলন না হওয়া ও বাজার দর কমে যাওয়ায় চরম লোকসানে পড়েছেন পেঁয়াজ চাষিরা। এতে পেঁয়াজ আবাদে চাষিদের খরচের টাকাই উঠছেনা। কৃষি অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টির কারণে কৃষক দ্রুত পেঁয়াজ উত্তোলন করায় বাজারে দাম কিছুটা কমেছে।

রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলা,বালিয়াকান্দি,পাংশা,গোয়ালন্দ ও কালুখালী এ পাঁচটি উপজেলাতেই অন্যান্য ফসলের চাইতে পেঁয়াজের আবাদ বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু চলতি পেঁয়াজের মৌসুমে অতিরিক্ত উৎপাদন খরচ এবং আশানুরুপ পেঁয়াজের ফলন ও বাজার দর কমে যাওয়ায় চরম লোকসানে পরেছেন পেঁয়াজ চাষিরা। এবছর বিঘা প্রতি পেঁয়াজ বীজ, সার ও কীটনাশক, চাষাবাদ ও দিনমজুর সহ ৪০/৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু বিঘা প্রতি মাত্র ২৫/৩০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। যার বাজার প্রতি কেজি পেঁয়াজ মান ভেদে ১৮/২২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মণ প্রতি ৭’শ থেকে সারে ৮’শ টাকা বাজার দর হওয়ায় ২০/২২ হাজার টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে চাষিদের। এতে উৎপাদন খরচের প্রায় অর্ধেক টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছেন। বাকী খরচের অর্ধেক টাকা যাচ্ছে লোকসানে। চলতি মৌসুমে হালি ও মূলকাটা দুই ধরনের ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। দেশের উৎপাদনের ১৫ ভাগ পেঁয়াজ আবাদ হয় রাজবাড়ীতে।

জেলা সদরের বসন্তপুর ইউনিয়নের কোলারহাট বিলপুটিয়া গ্রামের পেঁয়াজ চাষি মো. কাউসার খান ২ বিঘা জমিতে হালি পেঁয়াজ আবাদ করেছেন। জমি, বীজ, সার, ঔষধ, কীটনাশক, সেচ খরচ ও দিন মজুর সহ বিঘা প্রতি ৪০/৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এবছর নিম্নমানের বীজ, আবাদ খরচ বেশি, বৃষ্টিতে ও প্রাকৃতিক কারণে পেঁয়াজের ফলন কম ও বাজার দর কম হওয়ার কারনে মোট খরচের অর্ধেক টাকাই উঠছেনা তাদের। তার মত একই এলাকার কৃষক আব্দুল বারেক ফকির, সালাউদ্দিন ফকির, লিটন মৃধা, সাত্তার গাজীসহ আরও অনেক কৃষক পেঁয়াজ আবাদ করে লোকসানে পড়েছেন।

রাজবাড়ীতে পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচ বাড়ায় লোকসানে চাষিরা । ছবি: প্রতিনিধি

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করা ও বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করার অনুরোধ জানান চাষিরা। পেঁয়াজ আমদানি না করা হলে লোকসান কিছুটা কমবে বলে জানান তারা।

রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভালো উৎস থেকে পেঁয়াজ বীজ ক্রয় না করা হলে পেঁয়াজের ফলন কম হতে পারে। তবে গত কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে কৃষক দ্রুত পেঁয়াজ উত্তোলন করে বিক্রি করায় পেঁয়াজের দাম কমেছে। আবহাওয়া ভালো হলে কৃষকেরা পেঁয়াজের ভালো দাম পাবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত