ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

১৮ মাস বিভিন্নজনের দরোজায় ঘুরেছি: জাহাঙ্গীর

  গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৩, ২০:০৮  
আপডেট :
 ১৬ মে ২০২৩, ২১:১৯

১৮ মাস বিভিন্নজনের দরোজায় ঘুরেছি: জাহাঙ্গীর
গাজীপুর মহানগরের ছয়দানা এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাহাঙ্গীর। ছবি: প্রতিনিধি

গাজীপুরের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের ছেলে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, দীর্ঘ ১৮ মাস আমি চোখের পানি ফেলেছি, এখন আর চোখের পানি ফেলবো না। ১৮ মাস আমি বিভিন্নজনের ঘরের দরজায় ঘুরেছি। আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় প্রত্যেক নেতার অফিসে অফিসে, ঘরের দরজায় গিয়েছি। কিন্তু কেউ আমাকে সুযোগ দেয়নি। আমার সত্য তথ্যটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করতে দেয়া হয়নি। পার্টির কর্মীরা যদি কেউ বিপদে পড়েন তবে স্থানীয়, জাতীয় বা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তা নিয়ে আলোচনা করেন, সমাধান করেন। কিন্তু তা তারা করেননি।

মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে গাজীপুর মহানগরের ছয়দানা (মালেকের বাড়ি) এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকে গাজীপুরে লক্ষ লক্ষ মানুষের ঐক্য হয়েছে। আমার কোন পদ নেই। তারপরও লক্ষ লক্ষ মানুষ আমার সাথে রয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ একসাথ হয়ে গাজীপুরে ভোটের কাজে আসছেন। আপনারা যুদ্ধ করতে যেখানে আনবিক বোমা ব্যবহার করছেন, সেখানে আনবিক বোমার কোন দরকার ছিল না।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা আসছেন গাজীপুরে, আপনাদেরকে বলবো দাওয়াত খেয়ে যান। কিন্তু, গাজীপুরের মানুষকে আপানার থ্রেট দিয়েন না। আর আপানারা নেতা, আমরা কর্মী। কোন সংস্থা দিয়ে, কোনো পেশী শক্তি দিয়ে আপানারা কর্মীর বাসায় দিনে রাতে যাচ্ছেন, থ্রেট দিচ্ছেন, মোবাইল করছেন। এটাকে ভোটের পরিবেশ বলে না।

‘আমার মা জায়েদা খাতুন। আমার মা উনি একজন সংগ্রামী নারী। তিনি নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। জন্মের পর থেকেই আমার মা আমাকে ছাত্রলীগ করার জন্য, আওয়ামী লীগ করার জন্য যে শিক্ষা দিয়েছেন, সে শিক্ষা নিয়ে আমি গাজীপুরে আওয়ামী লীগের পরিবার এবং আওয়ামী লীগে থেকে কাজ করেছি। ছাত্র জীবন থেকে আমি আমার সংগঠনের আদর্শ নিয়ে নিয়ম নীতির বাইরে কোনোদিন চলি নাই।’

‘আমি ও আমার মা’র সাথে যারা একসাথে কাজ করছেন আজকে আমাদের নেতৃবৃন্দের বাসায় বাসায় যাচ্ছেন, প্রশাসনের লোকদের দিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। প্রশাসনের লোক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যারা টেবিল ঘড়ি মার্কায় কাজ করছেন তাদের বাসায় বাসায় যাচ্ছেন। এতে আপনারা সরকারের মুখে বিষ ঢেলে দিচ্ছেন না? আমি কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে দৃষ্টি আকর্ষণ করবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সত্যটা জানান। তিনি সত্যটা জানুক। উনার নেতাকর্মীর ওপর এখানে হয়রানি করা হচ্ছে, অবিচার করা হচ্ছে। সেজন্য আমার মা আমকে বলেছেন তোমার উপরে যে অবিচার করা হয়েছে গাজীপুরে ১২ লাখ ভোটার এবং ৪০ লাখ মানুষের ওপর অবিচার করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, আজমত উল্লা কে মনোনয়ন দিয়েছে। সে আমার ক্ষতি করার জন্য জড়িত ছিল। সত্য জানার জন্য আজকে সকল পাওয়ার চলে গেছে, রাষ্ট্রের সকল পাওয়ার চলে গেছে। দলেও সকলে চলে গছে। তারপরও আমারা মা-সন্তান দাঁড়িয়েছে। তারপরও কেন কর্মীর ওপর অত্যাচার করা হয়। এটা কার জন্য ভালো।

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ থেকে আজীবন বহিষ্কার জাহাঙ্গীর

জাহাঙ্গীর আলমকে পুনরায় বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, আমি আওয়ামী লীগের একজন সমর্থক। একজন সমর্থককে বহিষ্কার করতে আপনাদের কেন্দ্রীয় কমিটি কেন লাগবে? আমি আবেদন করব আমাকে দলের সমর্থক হিসেবে থাকার জন্য আমাকে জায়গা করে দেন। ক্ষমতার জন্য না, পদের জন্য না। আমার বিরুদ্ধে যে অবিচার করা হয়েছে সেই সত্যটা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমি আমার মায়ের সাথে রয়েছি।

ইভিএম নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের জাহাঙ্গীর বলেন, ইভিএম ভালো না খারাপ সেটা আগামী ২৫ মে (নির্বাচনের দিন) দেখতে পারবেন। তখন আপানার’ই বলবেন ভালো না খারাপ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত