বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৯ ধারা সংশোধনের সুপারিশ করবে মানবাধিকার কমিশন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৩, ২০:১৪
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৯ ধারা সংশোধনের সুপারিশ করা হবে জানিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাল্যবিয়ের ছোবলে পড়ে নারীর ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাল্যবিয়ের কারণ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। একটি গবেষণায় এসেছে, অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণে ১৮.৯৯ ভাগ, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার কারণে ২৫.৪৬ ভাগ বাল্যবিয়ে হয়।
এছাড়াও কম বয়সে বিয়ে দিলে যৌতুকের পরিমাণ কম দিতে হয় বলে মনে করে বাবা-মা।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের আয়োজনে ‘শিশুর প্রতি সহিংসতা নিরসনে প্রচারাভিযান’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, আমি মনে করি, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও ধর্মীয় নেতাদের বেশি করে সম্পৃক্ত করা জরুরী। এছাড়াও, বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনের ১৯ ধারায় যে বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে তা সুনির্দিষ্ট না হয়ে পরিধির ব্যাপকতার কারণে বাল্যবিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার চেয়ে প্রশ্রয় দেয়ার মত।তাই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইনের এই ধারা সংস্কারের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বাল্য বিবাহের কারণে অন্যান্য আর্থ-সামাজিক প্রতিবান্ধকতা যেমন মাতৃমৃত্যু, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মেয়েদের ঝরে পড়া ইত্যাদি দেখা যায়। সেজন্য বাংলাদেশ সরকার মেয়ে শিশুদের বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া রোধ করার জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি চালু করেছে। এর ফলে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যেমে মেয়ের সংখ্যা ছেলেদের চেয়ে ১০ শতাংশ বেড়েছে। বাল্য বিবাহ রোধে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের সচেতন করা বেশি জরুরি বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড ভিশন পরিচালিত ‘Listening to Bride’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এতে আরও বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের ন্যাশনাল ডিরেক্টর সুরেশ বারলেট, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ডিরেক্টর (অপারেশনস) চন্দন গোমেজ এবং সংস্থার উপপরিচালক নিশাত সুলতানা।
বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/এমএস
