ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

হবে আরেক মেট্রোরেল, ৩২ মিনিটে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৩, ১৮:০৬

হবে আরেক মেট্রোরেল, ৩২ মিনিটে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার পূর্ব-পশ্চিমে যোগাযোগের প্রথম বড় করিডোর এমআরটি-৫ এর নর্দান রুট নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। পাতাল ও উড়াল দুইভাবে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত চলাচল করবে এই মেট্রো ট্রেন। ২০ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দেবে ৩২ মিনিটে। দৈনিক ১২ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। আগামী জুলাইয়ে কাজ শুরু হতে পারে।

মঙ্গলবার মেট্রোরেলের ডিপোতে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

গাবতলী, মিরপুর-১০, কচুক্ষেত, বনানী, নতুনবাজার সড়কের নিচ দিয়ে যাবে রুটের একটি অংশ। আর হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার এবং নতুনবাজার থেকে ভাটারা অংশ তৈরি করা হবে সড়কের ওপর দিয়ে।

পাতাল ও উড়াল রুটের সমন্বয়ে লাইনটির দৈর্ঘ্য হবে ২০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১৩ দশমিক ৫০ পাতাল ও ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার হবে উড়াল রুট।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পাতাল ও উড়াল দুইভাবে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত এই রুটে চলাচল করবে মেট্রো ট্রেন। ২০ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দেবে ৩২ মিনিটে। দৈনিক ১২ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। আগামী জুলাইয়ে এর কাজ শুরু হতে পারে।

এমআরটি-৫ এর পাতাল অংশে নয়টি ও উড়ালে পাঁচটিসহ মোট ১৪টি স্টেশন নির্মাণ হবে। এর মধ্যে মাটির নিচে স্টেশন থাকবে যথাক্রমে গাবতলী, দারুস সালাম, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মিরপুর-১৪, কচুক্ষেত, বনানী, গুলশান-২ ও নতুনবাজার।

প্রকল্পটির কাজ ২০২৮ সালের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা সরকারের। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। এ প্রকল্পেও ঋণসহায়তা দিচ্ছে জাইকা।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়াওমা কিমিনরি, জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক। এ ছাড়া বিআরটিএ ও ডিএমটিসিলের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত