ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

সাভারে গার্মেন্টসের আড়ালে চলে জাল টাকার কারখানা

তিনজন আটক

  সাভার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৩, ২০:০৬  
আপডেট :
 ২৪ মে ২০২৩, ২০:১৮

সাভারে গার্মেন্টসের আড়ালে চলে জাল টাকার কারখানা
জাল টাকার কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। ছবি: প্রতিনিধি

সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নে একটি পোশাক কারখানার ভেতরে জাল টাকার কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে আটক করে কোটি টাকারও বেশি জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। এ সময় জাল টাকা তৈরির বেশকিছু সরঞ্জাম জব্দ করে পুলিশ।

বুধবার (২৪ মে) বেলা ১২টার দিকে বনগাঁওয়ের সাদাপুরের পুরাতন বাড়ির বছির বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে সাখাওয়াত হোসেন খানের মালিকানাধিন সাউথ বেঙ্গল এপারেলসের ভেতরে মূল অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় সাবেক এক ব্যাংক কর্মকর্তাও জড়িত বলে জানান পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে কারখানাটিতে অভিযান শুরু করে পুলিশ৷

আটককৃতরা হলেন, বরিশাল জেলার মুলাদী থানার ডিগ্রীরচর খান বাড়ির জয়নাল আবেদীন খানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন খান (৪৫), শরিয়তপুর জেলার পালং থানার গয়াধর গ্রামের আল ইসলাম সরদারের ছেলে সুজন মিয়া (৩০) ও বরিশাল জেলার মুলাদী থানার বয়াতিকান্দি গ্রামের মানিক মোল্লার ছেলে নাজমুল হোসেন (২৪)। এর মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন কারখানার মালিক।

আটক হওয়া তিনজন

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন থেকে কারখানাটি পরিচালনা করছেন সাখাওয়াত হোসেন খান নামের এক ব্যক্তি। তবে স্থানীয়দের কাছে কারখানাটি পোশাক কারখানা হিসেবেই বেশি পরিচিত। পোশাক কারখানার আড়ালে সেখানে জাল টাকার কারখানা রয়েছে তা আজ পুলিশের অভিযানের পর জানতে পারি।

অভিযান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান পিপিএম বলেন, আজ সকালে সাভারের অন্ধ মার্কেটের সামনে থেকে জাল টাকা দিয়ে লিচু কিনতে গেলে দোকানদারসহ স্থানীয়রা জাল নোট শনাক্ত করে ও একজনকে আটক করে সাভার থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানাপুলিশ আটক ব্যক্তিকে নিয়ে সাভারের বনগাঁও এর সাধাপুর পুরানবাড়ি এলাকার ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে। এরপর সম্পূর্ণ প্রস্তুত ৫০ লাখ নকল টাকা ও আরও প্রিন্ট অবস্থায় ৫০ লাখেরও বেশি টাকার সন্ধান পায়। পরে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে কারখানার সব জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গার্মেন্টসটির অভ্যন্তরে সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ কয়েকজনের সহায়তায় জাল নোট তৈরির কারখানা গড়ে তোলা হয়। আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে গরুর হাটে এই জাল নোট ব্যবহার করে বিপুল অর্থের মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন তারা। তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

আরও পড়ুন: পাত্রী দেখতে গিয়ে নিখোঁজ ৩ বন্ধুর মরদেহ মিললো পাহাড়ে

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত