নিপুণ রায়ের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩, ২১:৫৫ আপডেট : ২৬ মে ২০২৩, ২২:৩৭
ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
|আরও খবর
আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করেছেন, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে বিএনপির এই সহিংস হামলার প্রতিবাদ জানান ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
আহত একাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর ছবি শেয়ার করে নসরুল হামিদ লেখেন, নিপুণ রায় এবং বিএনপির গুন্ডারা প্রকাশ্য দিবালোকে কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ওপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের বহু কর্মী আহত হয়েছেন।
বিএনপি এবং তার কেন্দ্রীয় কমান্ডের এমন সহিংসতার বহু ইতিহাস রয়েছে জানিয়ে দেশবাসীকে গণতন্ত্র রক্ষার্থে এবং এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
‘হামলার’ সময়ের সিসি টিভি ফুটেজ থেকে নেয়া। ছবি: সংগৃহীত
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জিনজিরা বাস রোডে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিপুণ রায়ও আহত হয়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপির কিছু উত্তেজিত নেতাকর্মী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে পরিকল্পিতভাবে হামলার অভিযোগ আওয়ামী লীগের। আর বিএনপি নেতারা বলেন, হামলা ও ভাঙচুরের বৈশিষ্ট্য আওয়ামী লীগের।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম. ই. মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, নিপুণ রায়ের নেতৃত্বে আমাদের পার্টি অফিসে হামলা হয়েছে। আজকে ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। কেরানীগঞ্জে সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপির আরও নেতাকর্মী ছিলেন। সভা শেষ করে যাওয়ার সময় পথে আমাদের পার্টি অফিসে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে আমাদের পার্টি অফিসে ঢুকে আমাদের লোকদের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজও আছে আমার কাছে। সেখানে দেখা যায় নিপুণ রায় ইটপাটকেল ছুড়ে দৌড়াচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রায় ১৫ জনের মতো নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪ থেকে ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজাহার বাঙালি।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের টুইট বার্তা
আহরা হলেন- দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজহার বাঙ্গালী, জিনজিরা আওয়ামী লীগ নেতা মো. আরিফ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. মামুন শরীফ, ছাত্রলীগ নেতা মো. রিফাত, পুলক, শাহ জামাল, পারভেজ, সিয়াম হোসেন তাসলিম, মো. মারুফ হোসেন, রাজ, আল-আমিন, নেহাল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাজু, মোস্তাকিন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা তাঁতী লীগ নেতা ইমরান সোহেল।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম জানান, বিএনপির সমাবেশে কোনো বাধা দেয়া হয়নি। তাদের কিছু কর্মী বিশৃঙ্খলা করেছে।
এ ঘটনার পর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিপুণ রায়সহ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর নামে ২ মামলা
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি