ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ক্যান্সার হাসপাতালে হয়রানি বন্ধ ও সুচিকিৎসার দাবিতে মানববন্ধন

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৩, ১৪:২৮

ক্যান্সার হাসপাতালে হয়রানি বন্ধ ও সুচিকিৎসার দাবিতে মানববন্ধন
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রোগী হয়রানি বন্ধ ও চিকিৎসাসেবা না পাওয়াসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে ‘নিরাপদ হাসপাতাল চাই’ (নিহাচ)। শনিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন হয়।

সংগঠনটির ৫ দাবি হলো:

১। দালাল মুক্ত ও রোগীবান্ধব হাসপাতাল গড়তে হবে।

২। জেলা সদরে আইসিইউ, সিসিইউসহ সকল পরীক্ষা নিশ্চিত ও আসন বাড়াতে হবে।

৩। রোগী ও চিকিৎসকদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৪। হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

৫। টেস্ট ফি এবং ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।

নিহাচের সমন্বয়ক ফকর উদ্দিন মানিক বলেন, দেশে এত চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও বিদেশে চিকিৎসার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে, এ দায় কার? সরকারি হাসপাতালগুলোতে সঠিক চিকিৎসা প্রদানে ব্যর্থ হওয়াতেই বিদেশে ঝুকছে মানুষ।

তিনি বলেন, পুঁজিবাদের কারণে স্বাস্থ্যখাতে গড়ে উঠেছে অসুস্থ প্রতিযোগিতা। সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চায়, কিন্তু দালাল, অসাধু ডাক্তার-নার্স দিয়ে আদৌ কি সেটা সম্ভব? প্রায় এক দশক ধরেই স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ থাকে জাতীয় বাজেটের ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে। স্বাস্থ্য সেবা পেতে নিজেদের ৬৮ শতাংশ ব্যয় করতে হয়। এটা যদি কমানো না হয়, তবে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা নিতে গিয়ে মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়ছে এবং পড়বে। আমরা আগামী বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে অন্তত ১০% বরাদ্দ চাই। সঠিক স্মার্ট স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত হলেই হবে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ।

সংগঠের সদস্য সচিব এফ এ শাহেদ বলেন, সব সেক্টরগুলো চাটার দলে ভরে গেছে, ভন্ডামি আর লুটপাটে ব্যস্ত তারা। সাধারণ মানুষের চিকিৎসা নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। সরকারি হাসপাতালে যেখানে একদফা রেডিওথেরাপির জন্য ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা লাগে, সেখানে বেসরকারিতে প্রতি দফা ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা প্রয়োজন হয়। ক্যন্সার আক্রান্ত ব্যাক্তির জন্য একবারে ২০ থেকে ৩০ দফা থেরাপি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে এক টার্ম থেরাপি সরকারি হাসপাতালে ৪ থেকে ১০ হাজার টাকায় শেষ হলেও, বেসরকারিতে একটার্মে খরচ হয় ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা। এ অবস্থায়, প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে । দেশে ১৭০টি ক্যন্সার হাসপাতাল দরকার থাকলেও আছে ৩৪টি, সে গুলোতে চিকিৎসার পরিবর্তে হয়রানি আর ভোগান্তিই বেশি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সালেকুজ্জামান রাজিব, অসিম আল ইমরান, মোঃ আবু মুসা আশ'য়ারী মনির, শাহরিয়ার সোহাগ (যুগ্ম-সদস্য সচিব), এম আর এফ আবির, রেজয়ান সিমান্ত, মাহবুবুর রহমান, নোমান বিল্লাহ, নিরোধ কুমার বর্মন, সৈয়দ মোহাম্মদ আজম, খতিব আসলাম, শারমীন আক্তার মিস্ট, আবদুল্লাহ কাফি, তারেক মনোয়ার, মাহমুদুল হাসান, কে এম সবুজ, এঞ্জেল নুসরাত, বিথী কর্মকার, তুষার সাহা অর্নব প্রমূখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত