ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

মাছের দোকান ভাগাভাগি নিয়ে ব্যবসায়ীকে খুন

  টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৩, ২০:২১

মাছের দোকান ভাগাভাগি নিয়ে ব্যবসায়ীকে খুন
গ্রেপ্তার হওয়া হাবলু, ওলি ও খোকন। ছবি: প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে মাছ ব্যবসায়ী আলী আকবর বাপ্পীকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর এই হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন হয়। এর আগে গত ২৩ মে গভীর রাতে দিঘুলিয়া এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দিঘুলিয়ার মৃত দেলোয়ার বেপারীর ছেলে বাপ্পীকে। হত্যা করে তার তিনজন ব্যবসায়ী পার্টনার।

হত্যাকাণ্ডের তিনদিনের মধ্যে জড়িত তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন- পাড় দিঘুলিয়ার নূরু মিয়ার ছেলে রাজু আহম্মেদ হাবলু (৩০), একই এলাকার ঝন্টু বেপারীর ছেলে খোকন (৩১), মৃত শহীদ বেপারীর ছেলে ওলি (৩০)।

পরে ওই তিনজন মাছ ব্যবসায়ী বাপ্পীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ওলি ও খোকনকে গত শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়। এছাড়া রাজু আহম্মেদ হাবলুকে বৃহস্পতিবার পাঠানো হয়। এর আগে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মেস্কে জান্নাত রিপা ওই তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার পর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে এই ঘটনার তিনদিনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

জবানবন্দিতে তারা জানিয়েছে, মাছ ব্যবসায়ী বাপ্পীর মাছের দোকান ভাগাভাগি নিয়ে তার ব্যবসায়িক পার্টনার গ্রেপ্তার খোকন ও ওলির সাথে বিরোধ চলে আসছিল। পরে দোকান ভাগাভাগি নিয়ে রাজু আহম্মেদ হাবলু, খোকন ও ওলি মিলে বাপ্পীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী হাবলু নারীসংক্রান্ত বিষয়ে টাকার লোভ দেখিয়ে বাপ্পীকে নিয়ে দিঘুলিয়া ব্রিজের পাশের একটি বটগাছে বসে খোকন ও ওলিকে নিয়ে অপেক্ষা করে। পরে খোকন প্রথমে ধারালো দা দিয়ে আঘাত করে। বাপ্পী প্রাণ বাঁচাতে দিঘুলিয়ার শহীদ মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে গেলে সেখানে পুনরায় তার ওপর হামলা চালায় হাবলু, ওলি ও খোকন। পরে তিনজনে মিলে তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

ওসি আরও জানান, ক্লু-লেস এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে তথ্য প্রযুক্তি সহায়তা ও সোর্স ব্যবহার করে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় হত্যায় ব্যবহৃত একটি দা উদ্ধার করা হয়। পরে আসামিরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নৈশপ্রহরীকে বেঁধে ১০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত