গাড়ির চাকায় পেটিকোট পেঁচিয়ে ইয়াবা পাচার, গ্রেপ্তার ২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৩, ১৮:১৬

রাজধানীতে গাড়ির চাকায় পেটিকোট পেঁচিয়ে ইয়াবা পাচারকালে দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. আলমগীর (৪০) ও মো. শাহজাহান (২৬)।
|আরও খবর
ডিএনসি বলছে, টেকনাফ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে ঢাকায় আনতো ইয়াবার চালান। আর সেগুলো গ্রহণ করে সাভারে হেমায়েতপুরের বাসায় মজুত করেন ঠাকুরগাঁওয়ের শাহজাহান। এরপর নানা কৌশলে উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দেন ইয়াবা টেকনাফ থেকে ঢাকায় চালান আনার পর তা উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে কীভাবে, কার কাছে ইয়াবা পৌঁছাবে তার সমন্বয় করতেন শাহজাহান।
একটি ইয়াবা চালানের সূত্র ধরে বুধবার হেমায়েতপুর থেকে শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এর আগে শাহজাহানের কাছে ইয়াবার চালান নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার হয় ট্রাকচালক আলমগীর। তার ট্রাকের স্পেয়ার চাকার টিউবে বিশেষভাবে লুকানো অবস্থায় ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও পরবর্তীতে হেমায়েতপুরে শাহজাহানের বাসা থেকে নারীদের পেটিকোটে সেলাই করে লুকানো অবস্থায় রাখা ১৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) তেজগাঁওয়ের ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়ে উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জমান বলেন, টেকনাফ থেকে ঢাকায় আসা ইয়াবা সমন্বয় করে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে পাঠাতেন শাহজাহান। রংপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়সহ অন্য জেলাগুলোতে ইয়াবা সরবরাহ করে আসছিল তারা। আর ইয়াবা বহন করার জন্য নারীদের ব্যবহার করতেন শাহজাহান।
ট্রাক চালক আলমগীর টেকনাফ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় পণ্য পরিবহনের আড়ালে ইয়াবা বহন করতেন। টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নির্দেশে দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে দিতেন ইয়াবা। এ কাজের জন্য প্রতি ট্রিপে এক থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত পেতেন আলমগীর। এ পর্যন্ত কতগুলো ট্রিপ দিয়েছে তা স্বীকার করেনি আলমগীর বলে জানান রাশেদুজ্জামান।
ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, হাতেনাতে আটক করার পরও মাদক ব্যবসায় জড়িতরা কিছু স্বীকার করতে চায় না। আমরা রিমান্ডে এনে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করব।
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে শাহজাহান জানিয়েছেন, নারীদের ব্যবহার করে ইয়াবা পাচারের সুবিধার জন্য এ বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে থাকে চক্রটি। প্রাথমিকভাবে আসামি শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তার নামে ইতোপূর্বেও ২টি মাদক মামলা রয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/এমএস