ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

ফরিদপুরের ‘ডনের’ দাম ২৫ লাখ টাকা

  ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৩, ১৬:১২  
আপডেট :
 ০৯ জুন ২০২৩, ১৬:২৫

ফরিদপুরের ‘ডনের’ দাম ২৫ লাখ টাকা
ফ্রিজিয়ান জাতের গরু ‘ডন’। ছবি: প্রতিনিধি

কোরবানির ঈদ এলেই দেখা মেলে বাহারি নাম ও বিশাল আকৃতির গরুর। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। তাইতো প্রতিবারের মতো এবছরও ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ১৬০০ কেজি ওজনের ‘ডন’ নামের একটি গরু ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের মন কেড়েছে।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের হরেরকান্দি গ্রামের রুবায়েত হোসেন দুই বছর আগে ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুটি ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে আনেন। তিনি গরুটিকে একটি ঘরের মধ্যে রেখেই লালন-পালন করেছেন। দুই বছরের মধ্যে এক দিনের জন্যও গরুটিকে ঘরের বাইরে আনেননি। অর্থাৎ দুই বছর ধরে একটি ঘরের মধ্যেই ডনকে কোরবানির হাটে তোলার জন্য প্রস্তুত করা হয়। এক সপ্তাহ আগে ঘর ভেঙে ডনকে বাইরে আনা হয়। তখন ডনকে দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় জমান রুবায়েতের বাড়িতে। তাদের অনেকেরই দাবি, ফরিদপুর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু এটি।

সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে গরু মোটাতাজাকরণের পর হাটে নেয়া হয়। বড় গরুকে নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা- কার গরু সবচেয়ে বড়, কার গরু দেখতে সুন্দর। এ বছর সে প্রতিযোগিতায় নাম লেখাতে চায় ফরিদপুরের ‘ডন’ নামের এ গরুটি। বিশাল আকৃতির গরুটিকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু হচ্ছে ‘ডন’। উচ্চতা ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং লম্বায় ১২ ফুটের বেশি। প্রায় ১৬০০ কেজি ওজনের এ গরুটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় করছেন মানুষ। তাদের মাঝে গরুটির দাম নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।

স্থানীয়রা বলছেন, গো-খাদ্যের মূল্যে ঊর্ধ্বগতির কারণে অনেকেই গরু-ছাগল পালন বন্ধ করে দিয়েছেন। কেউবা গরু মোটাতাজাকরণের জন্য ইনজেকশন দেন কিংবা ওষুধ খাওয়ান।

"ডন" নামক গরুটির মালিক রুবায়েত হোসেন বলেন, সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে ফরিদপুরের ডন নামক গরুটিকে। আমি নিজে ঘাস চাষ করে গরুকে খাওয়াইছি। পাশাপাশি ছোলা, ভূষি এমনকি প্রতিদিন কমলা, মাল্টা, আঙ্গুর ও কলা খাওয়ানো হচ্ছে ডনকে।

তিনি আরও বলেন, কোরবানি আসার আগেই অনলাইনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত দরদাম করছেন ক্রেতারা। ২৫ লাখ টাকা হলে বিক্রি করা হবে। তবে আমার ইচ্ছা কোরবানির হাটে নিয়ে ডনকে বিক্রি করা।

সালথা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নাহিদুল ইসলাম বলেন, ষাঁড়টিকে লালন পালনে সফল ব্যক্তি রুবায়েতকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। আশা করি, ষাঁড়টির ন্যায্যমূল্য পেলে বিক্রি করে লাভবান হবেন।

আরও পড়ুন: তিতির পাখি পালনে স্বাবলম্বী কুমিল্লার হোমনার ইকবাল

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত