ঢাকা, সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঘুষ নিতে এসে কারাগারে দুদকের এএসআই

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:৩৫  
আপডেট :
 ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:৪৩

ঘুষ নিতে এসে কারাগারে দুদকের এএসআই
মো. কামরুল হুদা। ছবি: প্রতিবেদক

স্বর্ণ ব্যবসায়ী থেকে টাকা নিতে এসে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. কামরুল হুদাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত এ আদেশ দেন।

অভিযুক্ত মো. কামরুল হুদা দুদক কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী উপ-পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায়।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, পরিমল ধর নামের এক গয়না ব্যবসায়ী অভিযোগ করার পর পুলিশ কামরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ওই গয়না ব্যবসায়ী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। রোববার সকালে অভিযুক্ত কামরুল হুদাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও জানান, ২০১৩ সালে অভিযুক্ত কামরুল এক কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছিলেন। যদিও ওইসময় দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে কামরুলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে দুদক বিভাগীয় কোনো তদন্ত কিংবা ব্যবস্থা নেয়নি।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী পরিমল ধর নগরের হাজারী গলি এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী। অভিযুক্ত দুদক কর্মকর্তা কামরুল হুদা কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর পরিমলের দোকানে যান। সেখানে কামরুল নিজেকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে পরিমলের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার মাধ্যমে কালো টাকা উপার্জন করার অভিযোগ তুলেন। একই সঙ্গে তিনি দুদকের একটি চিঠিও দেন। এরপর একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে কামরুল দোকান ত্যাগ করেন। বিষয়টি ভুক্তভোগী তার ভাতিজার সঙ্গে শেয়ার করেন। ভাতিজা বিষয়টি নিয়ে কামরুলের দেয়া নম্বরে বিভিন্ন সময় যোগাযোগ করেন। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত হয় কামরুলকে ২০ লাখ টাকা দিলে তিনি বিষয়টির সমাধান করবেন। এ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় টাকা রিসিভ করতে দুদক কর্মকর্তা কামরুল চকবাজার এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে আসেন। অন্যদিকে বিষয়টি আগেই পাঁচলাইশ থানা পুলিশকে অবহিত করে রাখেন ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সন্ধ্যায় উভয়ের মধ্যে বৈঠক চলাকালেও পুলিশ অভিযান চালিয়ে কামরুলকে গ্রেপ্তার করে। তাকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার রাতে মামলা রুজু করে পুলিশ। মামলায় দুদক কর্মকর্তা কামরুল এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২ থেকে ৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়।

আরও পড়ুন: ব্যাংকে ঢুকে ছিনতাই, দুই কনস্টেবলসহ গ্রেপ্তার ৫

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত