ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

অতিথি পাখিতে মুখর কালিয়াকৈরের বিল-ঝিল

  মো. মনিরুজ্জামান, কালিয়াকৈর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:৩৪  
আপডেট :
 ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:০১

অতিথি পাখিতে মুখর কালিয়াকৈরের বিল-ঝিল
ছবি-বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের খাল-বিলের পানিতে প্রতি বছরই শীত আগমনের সঙ্গে সঙ্গে দেশীয় পাখির সাথে দেখা যায় অচেনা ভিনদেশি বাহারি রঙের পাখিদের আনাগুনা। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। অতিথিপরায়ণ বাঙালি আদর করেই ভিনদেশি এ পাখিদের ‘অতিথি পাখি’ নামে ডাকেন।

বাঁচার তাগিদে শীতপ্রধান অঞ্চল থেকে আসা অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর উপজেলার বিভিন্ন খাল, বিল-ঝিলের পানি। দেখা মেলে বহুদূরের পথ পাড়ি দিয়ে আসা নানা জাতের অতিথি পাখির।

দল বেধে ঝাঁকে ঝাঁকে খাবার আর উপযুক্ত পরিবেশের জন্য প্রতি বছরই এ অতিথি পাখিরা আমাদের দেশের বিভিন্ন উপজেলার উপযুক্ত পরিবেশে অবস্থান নেয়। গরম বাড়তে শুরু করলে পাখিগুলো ফিরে যায় নিজ দেশে।

শীতের সকাল-বিকেল অতিথি পাখিদের কিচিরমিচির, উড়ে বেড়ানোর সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই কালিয়াকৈরে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। হাজার হাজার পাখি কখনও ডানা মেলে উড়ছে; আবার কখনও ঝাঁকে ঝাঁকে পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে মনের আনন্দে।

উপজেলার বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি, টালাবহ, বগাবাড়ী, মেদী আশুলাই, বেনুপুরসহ উপজলার বিভিন্ন জলাশয়ে দেখা মিলছে নানা প্রজাতির অতিথি পাখি। সূর্যোদয় থেকে শুরু করে গোধূলি পর্যন্ত পাখির কলতানে মুখর থাকে এসব বিল-ঝিল।

বাইয়া, সরালী, গার্গেনী, নীলকন্ঠ, গজুয়া, কলাপানিসহ নানা প্রজাতির অতিথি পাখি দেখা যায়। এছাড়া সাদা বক, কানি বক, পানকৌড়ি, চিল, বাজসহ দেশীয় প্রজাতির নানা পাখিও বিচরণের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে অতিথি পাখির দল।

পাখির মুক্ত বিচরণ এলাকাগুলোতে মানুষের বসবাস ও যান্ত্রিকতার কারণে অতিথি পাখি আগমন অনেকাংশে কমে গেছে। তুলনামূলকভাবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে কালিয়াকৈরের জলাশয়কেন্দ্রীক এলাকায় অতিথি পাখির নিরাপদ আশ্রয় ছিল বলে সেখানে জড়ো হতো তারা।

দর্শনার্থী ইফতা ইসলাম বলেন, ‘প্রায়ই আমরা বাবা ও পরিবারের লোকজন নিয়ে অতিথি পাখি দেখতে আসি। নানা জাতের পাখি দেখে মনটা জুড়িয়ে যায়।’

স্থানীয়রা বলেন, ‘আগে আমাদের দেশে নানা প্রজাতির অতিথি পাখি দেখা যেতো। কিছু লোক পাখি শিকার করে থাকে। ফলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিলীন হওয়ার পথে। যদি বন্যপ্রাণী সংরক্ষিত আইনে পাখির অভয়াশ্রম হিসেবে গড়ে তোলা যায়, তাহলে বিল-ঝিলে জীববৈচিত্রের সৌন্দর্য প্রকাশ পাবে।

কালিয়াকৈর ইউএনও তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, ‘পাখি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাড়ায়। যেহেতু আমরা করোনাকাল পার করছি। এজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে বলা হয়েছে। তাছাড়া অতিথি পাখি ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত