ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

তুলা-কাপড়ের দাম বৃদ্ধিতে কমেছে লেপ-তোষকের বিক্রি

কষ্টে দিন পার ব্যবসায়ীদের

  রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২২, ১৩:০৭

তুলা-কাপড়ের দাম বৃদ্ধিতে কমেছে লেপ-তোষকের বিক্রি
লেপ-তোষকের দোকান। ছবি: প্রতিনিধি

রাজবাড়ীতে শীতের মৌসুমেও লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে দেখা নেই ক্রেতা সাধারণের। পণ্যের অত্যধিক দাম এবং এখনও শীতের প্রভাব কমের কারণে লেপ-তোষকের দোকানিরা অলস সময় পার করছেন। বিক্রি কমে যাওয়ায় কষ্টে দিন পার করছেন লেপ-তোষক কারিগর ও ব্যবসায়ীরা।

গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর তুলা ও কাপড়সহ আনুসঙ্গিক সরঞ্জামের অত্যধিক দাম বৃদ্ধির কারণে মীতের মৌসুম এলেও লেপ ও তোষকের দোকানগুলোতে বিক্রি নেমে এসেছে অর্ধেকের চাইতেও কম। বাজারের বিভিন্ন লেপ-তোষকের দোকানে ক্রেতা সাধারণের ভির কম দেখা গেছে। বেশির ভাগ দোকানিরা অলস সময় পার করছেন বিক্রি না থাকায়। আগে যেখানে প্রতিটি বড় আকারের লেপ তৈরিতে খরচ পড়ত দের হাজার টাকার মধ্যে, বর্তমানে কাপড় ও তুলার অত্যাধিক দামের কারণে খরচ বেড়ে দুই হাজার টাকার মত লাগছে। গত বছরের চাইতে এবছর প্রতি কেজি ভালো মানের কার্পাস তুলা কেজিতে বেড়েছে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত এবং প্রতি গজ কাপড়ে বেড়েছে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা। এতে লেপ ও তোষক তৈরিতে গড়ে পাঁচশ টাকা থেকে এক হাজার টাকা বেশি খরচ পড়ছে। এ কারণে লেপ-তোষকের দোকানে বিক্রি নেমে এসেছে অর্ধেকেরও কম। এ বাজারের অন্যান্য ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মেসার্স সোহান এন্টার প্রাইজ, ফুলশয্যা বিছানালয়সহ প্রায় অর্ধশাতাধিক ব্যবসায়ীর অবস্থাও একই রকম।

ক্রেতারা বলেন, গত বছরের চাইতে নিত্যপণ্যের জিনিসপত্রের পাশাপাশি লেপ-তোষকের দাম অনেক বেড়েছে। গত বছরের চাইতে প্রতিটি লেপ তৈরিতে ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা বেশি লাগছে। দাম বৃদ্ধির কারণে তারা কম কিনছেন বলে জানান।

রাজবাড়ী বড় বাজারের লেপ-তোষক ব্যবসায়ী শাহেব আলী বিছানালয়ের মালিক শাকিল বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় লেপ ও তোষক তৈরির সরঞ্জাম কাপড় ও তুলার অত্যধিক দাম বৃদ্ধির কারণে লেপ-তোষক তৈরিতে খরচ পড়ছে অনেক বেশি। প্রতি কেজি তুলা আগে যেখানে দুইশ টাকায় বিক্রি করতেন, এ বছর তা প্রায় দ্বিগুণ দরে কিনতে হচ্ছে। কাপড়ও প্রতি গজে বেড়েছে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা। এ কারণে শীতের মৌসুম এলেও তাদের লেপ-তোষক বিক্রি কমেছে। এতে তারা অলস সময় পার করছেন, ভালো যাচ্ছে না তাদের ব্যাবসা-বাণিজ্য। এ বাজারের মেসার্স সোহান এন্টার প্রাইজ, ফুলশয্যা বিছানালয়সহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ীর অবস্থাও একই রকম।

লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা বলেন, গত চার বছর পর প্রতিটি লেপ তৈরিতে ১৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি করা হলেও কাজ না থাকায় তাদের আশানুরূপ আয় হচ্ছে না। এতে তাদের সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে।

রাজবাড়ী লেপ-তোষক ব্যবসায়ী সমিতি সভাপতি মো. আব্দুর রহিম বলেন, লেপ-তোষকের সরঞ্জাম কাপড় ও তুলার দাম বৃদ্ধির কারণে তাদের বিক্রি নেমেছে অর্ধেকে। দাম বৃদ্ধির কারণে তাদের বেচাবিক্রি একেবারেই কমে গেছে।এ অবস্থা চলতে থাকলে তাদের ব্যবসায়ী পরিবেশ আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।

বাংলাদেশ/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত