ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

আমদানি কমেছে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে

  চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২২, ১১:৩৩

আমদানি কমেছে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে
সোনামসজিদ স্থলবন্দর। ছবি: সংগৃহীত

এলসি সংকটের কারণে পণ্য আমদানি কমেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে। চলতি মাসের শুরু থেকেই বন্দরে প্রবেশ করছে না কোনো ফলের ট্রাক। পাথর, পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি হলেও তা পরিমাণে খুবই কম। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বন্দরের কয়েকশ শ্রমিক।

সোনামসজিদ স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা উদ্ধব চন্দ্র পাল বলেন, কী কারণে পণ্য আমদানি কমেছে এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে নিষেধ রয়েছে। তাদের অনুমতি ছাড়া কথা বলা যাবে না। তবে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর পণ্য আমদানি কমেছে। গত বছর তাজা ফল আমদানি হয়েছিলো ৩১৩ ট্রাক, চলতি বছর হয়েছে ৭১ ট্রাক। চলতি মাসে ফল আমদানি একেবারেই শূন্যের কোঠায় নেমেছে। পাথর আমদানি হয়েছিলো ২৫ হাজারে ৫৯৫ ট্রাক, এবার হয়েছে ২ হাজার ১২৭ ট্রাক। অন্য পণ্য গত বছর আমদানি হয়েছিল ২ হাজার ৯৭০ ট্রাক, এবার হয়েছে ২ হাজার ৬৯৮ ট্রাক।

সরেজমিনে সোনামসজিদ স্থলবন্দর ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা কাজের আশায় বসে রয়েছেন। কিন্তু বন্দরে যে পরিমাণ শ্রমিক রয়েছে, সে অনুযায়ী আসছে না ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক। এতে কর্মহীন হয়ে সারাদিন বসে থেকে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে শ্রমিকদের। এদিকে ডলার সংকটের কারণে এলসি না মেলায় সীমান্তের ওপারে আটকে রয়েছে পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক। এমন সংকট চলতে থাকলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হুমকিতে পড়বে বলে মনে করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।

পাথর আমদানিকারক এক ব্যক্তি বলেন, গত মাসেও কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই চাহিদামতো পণ্য আমদানি করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকেই লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) পাওয়া যাচ্ছে না। সোনামসজিদ স্থলবন্দর মূলত পাথর আমদানিনির্ভর একটি বন্দর। কিন্তু খাদ্যদ্রব্যে এলসি পাওয়া গেলেও পাথরে এলসি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বিপাকে পড়েছেন পাথর ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘ দিন ধরে অপেক্ষায় থাকলেও তা না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

স্থলবন্দরের শ্রমিকরা জানান, এক মাস আগেও দৈনিক ৩-৫টি ভারতীয় ট্রাক থেকে পণ্য উঠানামা করিয়েছি। কিন্তু এখন দিনে দুটা ট্রাকের পণ্য উঠানামা করাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। অলস বসে সময় পার করছি। তেমন কোনো কাজ নেই। এক মাস আগেও যেখানে ৫০০-৭০০ টাকা আয় করেছি, সেখানে এখন আয় মাত্র ২০০-২৫০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে চলা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের শ্রমিক ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম বলেন, এখন ধান কাটার মৌসুম চলছে। আমাদের নিয়মিত শ্রমিক ১ হাজার ২৬৬ জন হলেও ধান কাটার কারণে তা এখন অর্ধেকে নেমেছে। এরপরও শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছে না। প্রতিদিন যেখানে ৪০০-৫০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হতো, সেখানে এক মাস থেকে তা নেমেছে ১৫০-২০০ ট্রাকে।

বাংলাদেশ জার্নাল/রাজু

  • সর্বশেষ
  • পঠিত